বগুড়া প্রতিনিধি

  ১৭ নভেম্বর, ২০১৯

নকশিকাঁথায় আর বাহারি-পিঠায় বগুড়ায় নবান্ন উৎসব

বাঙালির চিরচেনা ঐতিহ্যকে ফিরে আনতে বগুড়া সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজন করে নবান্ন উৎসবের। চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্য পিঠা নিয়েই গতকাল শনিবার বগুড়ায় দিনব্যাপী নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও সামাজিক সংগঠনগুলো পিঠার পাশাপাশি নকশিকাঁথা ও গ্রামীণ হস্তশিল্পের পসরা সাজান।

পহেলা অগ্রাহায়ন উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে বগুড়া সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত নবান্ন উৎসবে গ্রামবাংলার লাঠিখেলা, চরকী, ধানকাটার সাথে আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসবের। পিঠা উৎসবে কনকচাঁপা, কামরাঙ্গা, কমলা, লবঙ্গলতিকা, ডিম সুন্দরী, শতরঞ্জী, হৃদয় হরণ, সাগু, রঙ বাহারী, জামাই, গোলাপ, শাপলা-শালুক, নকশী, টমাটো, মনমোহন, পাটিসাপটা, বেলি, ক্রীম চকলেট, দুধ পিঠা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, কুশলী পিঠা, ঝাল পিঠা, পাতা নকশী, তাল, পুডিং, ঝুড়ি, খই, গোলাপ দুধ, পাকন, ঝিনুক, পুলি আরো বিভিন্ন নামের পিঠা নিয়ে ৩০টি স্টল দিয়ে সাজান বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহম্মেদ, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক সুফিয়া নাজিম, বগুড়া চেম্বারের সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলন, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল, সদর ইউএনও আজিজুর রহমান, বগুড়া চেম্বারের সহসভাপতি মাফুজুল ইসলাম রাজ, জেলা পরিষদ সদস্য মাহফুজা খানম লিপি, সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এইচএম ইকবাল, ডালিয়া নাসরিন রিক্তা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক।

পিঠামেলায় বগুড়া সদর উপজেলার বারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেলোপাড়া ক্লাস্টার, ঠনঠনিয়া ক্লাস্টার, কাটনার সেন্ট্রাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ভান্ডারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মানিকচক উচ্চ বিদ্যালয়, মাটিডালি উচ্চ বিদ্যালয়, টিএমএসএস পাবলিক স্কুল, শজিমেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পল্লীমঙ্গল বারুইপাড়া ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়, আমার বাড়ি আমার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, নকশীকাঁথা ও গ্রামীণ নারীদের বিভিন্ন হস্তশিল্পের পণ্য নিয়ে এসেছে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক জানান, আদিকাল থেকে বাঙলার ঘরে ঘরে পিঠা উৎসব হয়ে থাকে। কালের বিবর্তনে কিছুটা হলেও পিঠা উৎসবে ভাটা পড়েছে। আমাদের চেষ্টা চলছে সেই পিঠা উৎসবকে মনে করে দেওয়া।

বগুড়া সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এইচএম ইকবাল জানান, পিঠা উৎসবকে আরো বড় পরিসরে সাজিয়ে তুলতে হবে। এজন্য সকলের সহযোগিতাও থাকতে হবে। উপজেলা প্রশাসন থেকে আগামিতেও এমন আয়োজন করার চেষ্টা করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close