প্রায় সাড়ে তিন লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত জনপদ চুয়াডাঙ্গা জেলার সীমান্তবকর্তী উপজেলা দামুড়হুদা। আর এ উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ১৯৭৩ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ২০১৫ সালে হাসপাতালটি আধুনিকায়নের সঙ্গে সঙ্গে ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠে একটি চারতলা ভবন। হাসপাতালটির শুরু থেকে নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকলেও সম্প্রতি শুরু হয়েছে আধুনিকায়নের কার্যক্রম। স্ব^াস্থ্য সেবার মান বাড়াতে শুরু হয়েছে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সংযুক্ত করণের কাজ। কিন্তু হাসপাতালটিতে ১৬ জন ডাক্তারের স্থলে ৬ জন কর্মরত রয়েছেন। এরমধ্যে দুইজন প্রেষণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কর্মরত আছেন। সে ক্ষেত্রে মাত্র চার জন ডাক্তার দিয়ে চালানো হচ্ছে সেবা কার্যক্রম।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, ‘দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রচেষ্টায় উপজেলা প্রশাসন চিকিৎসা সেবার মান বাড়ানোর লক্ষে ২২ লাখ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনসহ ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার যন্ত্রপাতি এবং ২৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক নেবুলাইজার মেশিন ও রোগীদের বসার জন্য সেড তৈরি করা হবে। মালামাল এসে গেলে স্বল্পমূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো সম্ভব হবে, রোগীরাও হাসপাতালের প্রতি আস্থা ফিরে পাবেন।

চিকিৎসক সংকটের বিষয় তিনি বলেন, ‘১৬ জন ডাক্তারের স্থলে ৬ জন ডাক্তার থাকলেও এরমধ্যে দুইজন প্রেষণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। এখন মাত্র চার জন ডাক্তার দিয়ে চালানো হচ্ছে হাসপাতালটি। তিনি আরও জানান, দ্রুত অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রমও চালু করা হবে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু বলেন, ‘৩ লাখ ২৮ হাজার ২৫৬ জন জনসংখ্যার এই উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে এতো দিন অ্য্যম্বুলেন্স, এক্স-রে মেশিনসহ কোনো ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি ছিল না। শুধু মাত্র সরকারি ওষুধ দিয়েই চলতো রোগীদের সেবাদান কার্যক্রম। তাই চিকিৎসা সেবার মান বাড়াতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকে ২২ লাখ টাকার মালামাল ক্রয়ের জন্য প্রকল্পের আবেদন করা হয়েছে। মালামাল আসলেই সাধারণ রোগীদেরকে আরো উন্নত সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।’

"