আল-আমিন মিয়া, পলাশ (নরসিংদী)

  ১৫ নভেম্বর, ২০১৯

নবজাতক ‘চুরি’ নিয়ে পরম্পরকে দোষারোপ

নরসিংদীতে মেরিস্টোপস ক্লিনিক থেকে ৩ দিন বয়সী নবজাতক হারানোর ঘটনায় পরস্পরকে দোষারোপ করছেন শিশুর স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার সন্ধ্যায় শহরের বাসাইলস্থ ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। চুরি যাওয়া নবজাতক নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ইটনা গ্রামের শাহ আলম ও সখিনা বেগম দম্পত্তির সন্তান। ক্লিকিন কর্তৃপক্ষ থেকে খবর পেয়ে ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নরসিংদী সদর মডেল থানার এসআই ইমরান হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশ, নবজাতকের পরিবার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শনিবার রাতে সখিনা বেগমকে নরসিংদীর মেরিস্টোপস ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালে অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়। পরের তিনদিন মা ও শিশু ক্লিনিকেই ছিল। ঘটনার দিন বুধবার সন্ধ্যায় রাতের খাবার খেতে বসেন নবজাতকের মা। এ সময় ক্লিনিকের গাইনী ওয়ার্ডের ভেতরে আগে থেকেই আত্মীয় বেশে ঘুরাফেরা করতে থাকা অজ্ঞাত এক নারী নবজাতককে নিয়ে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অন্য রোগী ও তাদের স্বজনরা ওই আত্মীয়াকে নবজাতককে নিয়ে যেতে দেখেছেন বলে জানান। এ ঘটনার পর নবজাতকের পরিবার অভিযোগ করেন, বিল পরিশোধ করতে না পারায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কৌশলে নবজাতককে সরিয়ে দিয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নবজাতকের মায়ের এক নারী আত্মীয়া এসে নবজাতককে সরিয়ে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

জানতে চাইলে নবজাতকের মা সখিনা বেগম প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, আমরা গরীব মানুষ হাসপাতালের ১৩ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করতে পারছিলাম না। পরে তারা ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেয়। এই টাকা যোগাড় করতে আমার বিলম্ব হচ্ছিল। এরই মধ্যে আমার কন্যা শিশুকে চুরি করে নিয়ে গেছে। আমার ধারণা, বিল দিতে না পারায় ক্লিনিকের লোকজনই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

এবিষয়ে ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. ইশতিয়া জাহান বলেন, ক্লিনিকের বিলের জন্য চাপ দেওয়া হলে নবজাতকের মা কৌশলে নবজাতককে সরিয়ে নিয়ে উল্টো আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। নবজাতককে নিয়ে যাওয়া ‘অজ্ঞাত’ নারী প্রসুতির আত্মীয়া হিসেবে ক্লিনিকে এসেছেন বলে অন্য রোগী ও স্বজনদের বরাত দিয়ে তিনি জানান।

জানতে চাইলে, সদর মডেল থানার এসআই ইমরান হাসান বলেন, নবজাতক চুরির ঘটনায় নবজাতকের মা ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পরষ্পরকে দোষারোপ করছে। সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close