কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ০৯ নভেম্বর, ২০১৯

কামারখন্দে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি

সালিসে আদায়কৃত জরিমানা আত্মসাৎ করলেন মাতব্বররা

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার হাজী কোরপ আলী মেমোরিয়াল কলেজের এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনার সামাজিক সালিসে আদায়কৃত জরিমানার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর স্থানীয় আ.লীগ নেতা ও মাতব্বরদের বিরুদ্ধে। অভিযোগটি তুলেছেন যৌন নিপীড়নের শিকার ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীকে কৌশলে যৌন নিপিড়নের চেষ্টা করেন একই গ্রামের নুরুল ইসলাম আকন্দের ছেলে এক সন্তানের জনক জাহাঙ্গীর আলম (৩০)। পরদিন বুধবার তার বাবা কামারখন্দ ইউএনও বরাবর একটি অভিযোগ করেন। ১২ অক্টোবর ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে কামারখন্দ থানায় একটি মামলা করেন। এদিকে, যৌননিপীড়নের মামলার কিছুদিন পর থেকে মামলা তুলে নিতে ও স্থানীয়ভাবে মিমাংশার চাপ দেয় স্থানীয় আ.লীগ নেতা ও মাতব্বররা।

গত ২৮ অক্টোবর সোমবার স্থানীয় এক আ.লীগ নেতার বাসায় একটি শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বেঠকে রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ, গোপালপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন, বাড়াকান্দি গ্রামের আক্তার হোসেন, আনোয়ার হাজী, সাদেক আলী মুন্সিসহ উপস্থিত মাতব্বরা অভিযুক্তকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

কিন্তু ওই জরিমানার টাকার মধ্যে মাত্র ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় মেয়ের বাবার হাতে। বাকি টাকা রায়ৗলতপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদসহ অন্যান্য মাতব্বররা ভাগবাটোয়ারা করে নেন। রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন আ. লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। পুরো টাকাই মেয়ের বাবার হাতে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা কামারখন্দ থানার এসআই ইয়ামিন হোসেন জানান, আসামি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। তবে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আর ঘটনাটি মীমাংসার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close