শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ০৯ নভেম্বর, ২০১৯

শ্রীনগরের বাড়ৈখালী ইউপি ভবন প্রাঙ্গণে স্যানেটারি কারখানা!

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন প্রাঙ্গণে একটি স্যানেটারি কারখানা গড়ে উঠেছে। এতে করে স্যানেটারি সামগ্রী তৈরির ধুলাবালি ও নোংরা পানিতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সেলিম হোসেন তালুকদার। প্রায় ১৫-১৬ বছর ধরে রতন নামের এক ব্যক্তি ওই স্যানেটারি কারখানাটি গড়ে তুলেছেন বলে জানা গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার প্রায় শেষ সীমানায় অবস্থিত বাড়ৈখালী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন। এর বাউন্ডারি ঘেষে রাখা হয়েছে সিমেন্টের শত শত পিলার, টয়েলেটের রিং-স্লাভ। ভেতরে ইউনিয়ন পরিষদের বাম পাশের অংশটিতে গড়ে উঠেছে কারখানাটি।

এ সময় লক্ষ্য করা গেছে, স্যানেটারি তৈরির কাজে ইটের সুরকি, বালু, সিমেন্টসহ অন্যান্য উপকরণ যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়েছে। বাতাসে উড়ছে ধুলাবালি। জমে আছে নোংরা পানি। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় নোংরা পানি ও ময়লা আবর্জনা পরিষদ ভবনের পশ্চিম পাশে গিয়ে জমা হচ্ছে। এ সময় স্যানেটারি কারখানার মালিক মো. রতনের কাছে জানতে চাইলে সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন মাস্টারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তিনি আমাকে এখানে কাজ করার অনুমতি দিয়েছিলেন। কতদিন যাবত এখানে কাজ করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ৩ বছরের কথা তিনি জানান। ইকবাল মাস্টার প্রায় ৮-৯ বছর ধরে এখানে নেই এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সুদত্তর দিতে পারেননি।

সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন মাস্টারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব ছেড়েছি ৯ বছর আগে। আমি কি করে রতনকে অনুমতি দিলাম! ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. নিয়ন জানান, এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ও সচিব সব জানেন। বাড়ৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী সেলিম হোসেন তালুকদার বলেন, রতনকে বলে দেওয়া হয়েছে আগামী ডিসেম্বর মাসে কারখানা নিয়ে চলে যাবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রহিমা আক্তার এ বিষয়ে বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে এ বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close