জালাল উদ্দিন হাককানী, মহম্মদপুর (মাগুরা)

  ১৯ অক্টোবর, ২০১৯

নিবন্ধনের পরও সহায়তা মিলছে না মহম্মদপুরের ৫ শতাধিক জেলের

সারা দেশের মতো মাগুরার মহম্মদপুরেও ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে আগে থেকেই জেলেদের সচেতন করা হয়েছে। তারপরও যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে নামবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন নদীনির্ভর প্রায় ৫ শতাধিক জেলে। অভাব অনটনের মধ্যে তাদের দিন কাটলেও সরকারি কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না তারা।

সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় নিবন্ধিত ১ হাজার ৫৮৩ জন জেলে রয়েছেন। যার মধ্যে প্রায় ৫০০ জেলে মধুমতি নদী থেকে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।

সরেজমিন দেখা যায়, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে জেলেরা তাদের নৌকাগুলো নিরাপদে রেখে জাল বাড়িতে নিয়ে গেছেন। নৌকা ভাসাতে না পারায় নদীনির্ভর এই জেলেরা বেকার হয়ে পড়েছেন। এখন অলস সময় পার করছেন তারা। এসব পরিবারের দিন কাটছে অভাব-অনটনের মধ্যে। কেউ অর্ধাহারে কেউ অনাহারেও দিন কাটাচ্ছেন।

নদীনির্ভর বিপ্লব মালো, বিপুল মালোসহ কয়েকজন জানান, মধুমতী নদী থেকে আমরা মাছ শিকার করে থাকি। ইলিশ সম্পদ বাড়াতে যে নিষেধাজ্ঞা হয়েছে তা আমরা মানি। কিন্তু এ সময় আমাদের অনেক কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। ছেলেমেয়ে নিয়ে অভাব-অনটনে আছি। সরকারিভাবে আমরা কোনো সহযোগিতাও পাচ্ছি না।

লাকু মোল্লা নামে এক জেলে বলেন, আমরা সরকারি সহযোগিতা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। তাতে কোনো কাজ হয়নি। সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পেলে আমাদের কষ্টটা একটু কমে যেত। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র দাস বলেন, ৯ থেকে ৩১ অক্টোবর ২২ দিন ইলিশ ধরার পাশাপাশি সংরক্ষণ, বিপণন, পরিবহন আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এ সময় সরকারিভাবে সিলেক্টেড কিছু জায়গায় সহায়তা দেওয়া হয়। মহম্মদপুর উপজেলা ইলিশ জোনের মধ্যে না পড়ায় তারা সরকারিভাবে সহায়তা পাচ্ছেন না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close