আকরামুল ইসলাম, সাতক্ষীরা

  ১৬ অক্টোবর, ২০১৯

ডাস্টবিন রেখে রাস্তার পাশে পৌর আবর্জনার স্তূপ

সাতক্ষীরা শহরে নির্ধারিত ডাস্টবিন থাকতেও রাস্তার পাশের ফেলা হচ্ছে পৌরসভার আবর্জনা। ফলে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে চলা ‘ক্লিন এন্ড গ্রিন সাতক্ষীরা’ কার্যক্রম অঙ্কুরেই বিনাশ হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই অবস্থার প্রতিকার চেয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানান হলেও কোনো ফল পায়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

স্বাস্থ্যসম্মত ও সবুজ পরিবেশ গড়ে তুলতে জেলাকে ‘ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রিন সাতক্ষীরা’ ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল। এই ঘোষণা বাস্তবায়নে নানা উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু পৌরসভার বর্জ্যে ভরে উঠছে শহরের সুলতানপুর বড়বাজার সংলগ্ন জনগুরুত্বপূর্ণ বকুলতলা মোড় এলাকা। এই মোড়েই রয়েছে পৌর ডাস্টবিন। তবে সেই ডাস্টবিনে কেউ আবর্জনা ফেলেন না, ফেলেন জনগুরুত্বপূর্ণ মূল সড়কে। যা পথচারিসহ সবার দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। অথচ এর কাছেই দিবানৈশ ডিগ্রি কলেজ, তার পাশেই ল’ কলেজ।

এদিকে সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কের ছয়ঘরিয়া যোগরাজপুর মোড় এলাকাটি শহর থেকে একটু দূর। তবে প্রধান এ সড়কের পাশেই কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই সাতক্ষীরা পৌর কর্তৃপক্ষ নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থান করেছে। ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে স্থানটি। চরম দুর্গন্ধ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাসহ পথচারীদের।

স্থানীয় দোকানদার রাশেদুল ইসলাম জানান, রাস্তার ওপর এই ময়লা আবর্জনার স্তূপ একদিনে গড়ে উঠেনি। বড় বাজারের সব আবর্জনা ফেলা হয় বকুলতলা মোড়ের এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ওপরে। দুর্গন্ধ ছড়ায় চারিদিক। বিভিন্ন সময় এটা নিয়ে অভিযোগ জানালেও পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়া পৌরসভার এই মোড়ে যে ছোট ডাস্টবিন রয়েছে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে না কেউ, ফেলে রাস্তায়। এই ব্যবসায়ী বলেন, রাস্তার পাশের বর্জ্য মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলা প্রশাসক রাস্তায় আবর্জনা পরিষ্কার করছেন আর মেয়র রাস্তায় ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করে মানুষের দুর্ভোগে ফেলেছেন। একই অভিযোগ পথচারীদের।

সরেজমিন দেখা যায়, নাক-মুখ বন্ধ করে চলাচল করছে ব্যস্ততম এই সড়কটির পথচারীরা। পৌরসভার ফেলা ময়লা-আবর্জনায় ওই স্থানসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ। রাস্তার পাশের জীবন্ত গাছগুলোও মারা যাচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে আশেপাশের আবাদি কৃষি জমিরও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত সেখানে ময়লা ফেলায় বের হয় দুর্গন্ধ। দুর্ভোগে পথচারীসহ পার্শ¦বর্তী অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বলা হলেও কর্ণপাত করেনি আজও।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরবর্তী সময়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, ক্লিন সাতক্ষীরা গ্রিন সাতক্ষীরা গড়তে কাজ করে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। কোন অন্যায় কর্মকা- ও দায়িত্বে অবহেলা সহ্য করা হবে না। পৌরসভার ময়লা-আবর্জনার বর্জ্য ফেলার ফলে যে মারাত্মক বায়ুদূষণসহ সৃষ্ট পরিবেশ সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close