মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর উচ্চবিদ্যালয়ের একটি জীর্ণ ভবনের ছাদের একাংশে পলেস্তারা ধসে পড়েছে। দুর্গাপুজায় স্কুল বন্ধ থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। গত শুক্রবার ছাদের পলেস্তারা ধসে পড়ে। ছাদ খসে পড়ার কারণে আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া নির্বাচনী পরীক্ষা গ্রহণ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের জায়গা সংকুলান নিয়ে বিপাকে শিক্ষকরা।

জানা যায়, উপজেলার চা বাগান অধ্যুষিত মাধবপুর ইউনিয়নের একমাত্র প্রতিষ্ঠান মাধবপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ১৯৯৪-৯৫ অর্থ বছরে একটি দোতলা ভবন নির্মিত হয়। নি¤œমানের ভবনটির নিচ তলায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি কক্ষে পাঠদান ও অফিস হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠার পরও শিক্ষক-শিক্ষার্র্থীরা ভবনের কক্ষ ব্যবহার করছেন। তবে দূর্গাপুজা উপলক্ষে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পুজার বন্ধের সময়ে যেকোন দিন তিনটি কক্ষে ছাদের পলেস্তারার ভারী অংশে ধ্বসে পড়ে। পলেস্তারর বড় বড় ইটের টুকরো চেয়ার-টেবিল ও ফ্লোরে পড়ে আছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে দাবী করছেন স্থানীয়রা। গতকাল শনিবার বিকেল ৩টায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান অফিস কক্ষের তালা খুলে গিয়ে অফিস কক্ষের ছাদ ধসে পড়ার দৃশ্য দেখতে পান। একইসাথে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের দুটি কক্ষ খুললে একই দৃশ্য দেখে হতবম্ভ হয়ে পড়েন। ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেন তিনি।

বিদ্যালয়টিতে মাধবপুর ইউনিয়নের একমাত্র পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র। তাছাড়া সোমবার থেকে এসএসসি শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।

শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ, মৌলভীবাজারের সহকারী প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম জানান, ভবনটি পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ বলে দুই মাস আগে জেলা শিক্ষা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। জেলা শিক্ষা প্রকৌশলী ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেন।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বিদ্যালয় ভবনের কক্ষের ছাদের পলেস্তারা ধসে পড়ার বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।

"