কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছে। এদিকে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সাতলঠি গ্রামে এক যুবকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তারই বন্ধুরা। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ভালুকা পূর্বশা গ্রামে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাদের শয়নকক্ষে থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতরা হলেন বিপুল কুমার রায় (২৯) এবং তার স্ত্রী সোহাগী রানী (২৫)। বিপুল কুমার রায়ের বাড়ি ঝিনাইদহর শৈলকুপায় এবং সোহাগী রানী ভালুকা পূর্বশা গ্রামের ভরত মন্ডলের মেয়ে। বিপুল রায় ঘরজামাই থাকতেন বলে জানা গেছে। পরিবারের সদস্যরা জানান, গত তিন মাসের আগে এই দম্পত্তির বিয়ে হয়। প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে তারা ঘরে ঘুমাতে যান। সকালে ৮টা পর্যন্ত ঘরের দরজা না খোলায় পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি করেন, কিন্তু তারা কোন সাড়া দিচ্ছিলেন না। পরে পরিবারের লোকজন স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে জানালে পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে স্বামীকে গলায় ফাঁস নিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং স্ত্রীকে খাটের উপর থেকে উদ্ধার করে। কুমারখালী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করেছি। বিষটি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছে।

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) : সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সাতলঠি গ্রামে আব্দুর রাজ্জাক (৩৩) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে তার বন্ধুরা। নিহত আব্দুর রাজ্জাক পাশ্ববর্তী লক্ষীপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে। বেলকুচি থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজ্জাক সাতলাঠি বাজারে অবস্থান কালে পূর্ব শত্রুতার জেরে এলাকার হাফিজুর, হানিফসহ কয়েকজন মিলে রাজ্জাককে বেদম মরপিট করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথম এনায়েতপুরের স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তির পর তার অবস্থার অবনতি হলে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। মধরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। শুক্রবার সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।

"