যশোর প্রতিনিধি

  ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালে

যশোরের মণিরামপুরে একাধিকবার ধর্ষণের ফলে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক কিশোরী মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অর্থাভাবে সঠিক চিকিৎসা নিতেও পারছে না সে। এর আগে উপজেলা এনজিও কর্মকর্তা কিবরিয়া তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

মেয়েটির বাবা জানান, মণিরামপুর উপজেলার তাহেরপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের একজন কর্মকর্তা। তিনি মণিরামপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত বছর তার মেয়েকে বাসায় কাজের পাশাপাশি লেখাপড়া করাবেন বলে যশোর থেকে মণিরামপুরে নিয়ে যান কিবরিয়া। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাড়ি ফাঁকা থাকায় কিবরিয়া তার মেয়েকে প্রথম ধর্ষণ করতে যায়। মেয়েটি বাধা দিলে তার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর কয়েকদফা তাকে ধর্ষণ করা হয়। সর্বশেষ ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে আবারও তাকে ধর্ষণ করা হয়। কয়েকদিন আগে মেয়েটির শরীর খারাপ করলে তাকে যশোরে একজন পল্লী চিকিৎসককে দেখানো হয়। প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ চিকিৎসক জানান, মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। পরে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে আল্ট্রাসনো করে দেখা যায় সে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে ১ জুলাই মেয়েটির বাবা মণিরামপুর থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সৌমেন বিশ্বাস শুক্রবার বলেন, ৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে আমি যশোর জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছিলাম। মেয়েটি ৩৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। সে ও তার গর্ভের শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযুক্ত কিবরিয়াকে ১ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। তিনি জেলহাজতে রয়েছেন। তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক তানজিলা নূরিয়া জানান, একটি শিশু আরেকটি শিশুকে ধারণ করেছে। এখনও তার প্রসবের সময় হয়নি। তবে, সে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। তবে গর্ভবতী ও তার গর্ভস্থ সন্তান ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close