এইচ আর তুহিন, যশোর

  ২৫ আগস্ট, ২০১৯

রাজারহাটের চামড়ার মোকাম

ঘুরে দাঁড়ালেও কাক্সিক্ষত দাম পাননি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

কোরবানি ঈদ পরবর্তী দুই হাট পর শনিবারে দক্ষিণবঙ্গের বৃহত্তম চামড়ার মোকাম রাজারহাটে প্রচুর চামড়ার সমাগম ঘটে। প্রায় ৩০ হাজার পিস গরু-ছাগলের চামড়ায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে রাজারহাট। এদিন হাটে দুই কোটি টাকার চামড়ার হাত বদল হয়েছে বলে জানান হাটের ইজারাদার। তবে কাক্সিক্ষত দাম পাননি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। আবার আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের দাবি রাজারহাটে চামড়ার দাম বেশ চড়া।

খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় চামড়ার মোকাম যশোরের রাজারহাট। ঈদ পরবর্তী হাটগুলোতে দেশের ট্যানারি মালিক ও আড়তদারদের নজর থাকে এই হাটের দিকে। ৩-৪ বছর আগেও ঈদের সময় প্রায় ২০ কোটি টাকার চামড়া কেনাবেচা হতো। কিন্তু সেই অবস্থা এখন আর নেই। এজন্য চামড়ার দরপতনকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যশোরের মণিরামপুরের পাচাকড়ি গ্রামের হরি শংকর রায় জানান, তিনি এবারের কোরবানি ঈদে ৬০০-৭০০ টাকা পিস হিসেবে গরুর চামড়া বাড়িতে গিয়ে ক্রয় করেছিলাম। দাম না থাকায় গত ১২ দিন লবণ মাখিয়ে সংরক্ষণে রেখেছিলাম। কিন্তু সেই কাক্সিক্ষত দামও পায়নি। আর লবণ খরচ করে পারা যাচ্ছেনা। যেকারণে কেনাদামে চামড়া বিক্রি করেছি। অন্তত লোকসান থেকে বেঁচেছি। একই উপজেলার নেহালপুর গ্রামের শফিয়ার রহমান বলেন, গত ৩ বছর আগেও যে চামড়া ৩ হাজার টাকা পিস ছিল, সেটি মাত্র ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এবার চামড়া কিনে লাভবান হতে পারলাম না।

সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের জিতেন পাল জানান, ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা ফুট বিক্রি হলে লাভবান হতাম, কিন্তু এদিন রাজারহাটে চামড়া বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা ফুট দরে।

তবে ঢাকার তুবা লেদার কমপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারী হাসান কালু বলেন, রাজারহাটে চামড়ার দাম বেশি যাচ্ছে। ভালোমানের চামড়া ১১০০ টাকায়ও মিলছে না। এখান থেকে চামড়া কিনে পরিবহন খরচ মিলিয়ে আমরা লাভবান হতে পারব না। কেননা ভারত, পাকিস্তানসহ বহিঃবিশ্বে প্রস্তুতকৃত চামড়া বিক্রি হচ্ছে এক ডলারে। রাজারহাটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত দামে অর্থাৎ গরুর চামড়া প্রতি ফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় কেনা হয়েছে। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন।

বৃহত্তর যশোর চামড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুকুল বলেন, শনিবার ঈদ পরবর্তী রাজারহাটে প্রচুর চামড়ার সমাগম ছিল। মান ও আকার ভেদে প্রতিপিস গরুর চামড়া ৭০০ থেকে ১১০০ টাকা ও ছাগলের চামড়া গড়ে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রাজারহাটের ইজারাদার হাসানুজ্জামান হাসু বলেন, ঈদের পরে শনিবারই ছিল জমজমাট। এদিন হাটে ৩০ হাজার পিস গরু ও ছাগলের চামড়া উঠেছিল। অন্তত ২ কোটি টাকার হাতবদল হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close