পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি

  ২৪ আগস্ট, ২০১৯

পাইকগাছায় উন্মুক্ত নদী বদ্ধ দেখিয়ে ইজারা

খুলনার পাইকগাছায় পোদা ও গয়সা নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার জন্য ২টি স্লুইচ গেটের পানি সরবরাহের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন কথিত ইজারাদাররা। ফলে বর্ষণে তলিয়ে গেছে হাজার বিঘা ফসলি জমি, ভেসে গেছে লাখ লাখ টাকার মাছ। ‘অবৈধ ইজারা’ বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন এলাকাবাসী। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

উপজেলার লতা ইউনিয়নে পোদা ও গয়সা নদী অবস্থিত। এর আয়তন ৭৪ একর। নদীর দুই প্রান্তে অবস্থি ২টি স্লুইচ গেট দিয়ে ৬টি মৌজার হাজার হাজার বিঘা জমির পানি সরবরাহ হয়। চলতি বছর উন্মুক্ত এ নদীকে বদ্ধ জলাশয় দেখিয়ে নেট-পাটা ও বাঁধ দিয়ে চিংড়ি চাষ করা হচ্ছে। এর ফলে পানি সরবরাহের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

এলাকাবাসির দেওয়া অভিযোগে দেখা যায়, জেলা পরিষদ কার্যালয় থেকে গত ২৪ এপ্রিল কয়রা উপজেলার গড়েরডাঙ্গা মিলনী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি.-এর সভাপতি প্রদীপ রায় উন্মুক্ত নদী বদ্ধ দেখিয়ে ১৪২৬-১৪২৮ সাল পর্যন্ত ইজারা নেন। কিন্তু সমিতির সভাপতি প্রদীপ রায় ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে লতা গ্রামের আব্দুল বারিক সরদারের ছেলে বাবুল সরদার ও নয়ন এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আনারুল ইসলামসহ ৪ জনের নামে সাব-লীজ প্রদান করেন।

এদিকে সাব-লীজ গ্রহিতারা সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী উন্মুক্ত নদীতে বাঁধ, নেট-পাটা দিয়ে চিংড়ি চাষ করছে। নদীর উপর নির্মাণ করছে ৫-৬টি দোকান। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বার বার নিষেধ করার স্বত্বেও তারা এ নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করলে তিনি দ্রুত তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দেন। ইউএনও জুলিয়া সুকায়না অভিযোগ তদন্তে লতা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে পাঠান। তাদের তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে এখনও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close