উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম)
ফুলবাড়ীতে খুলে দেওয়ার ৩ মাসেই ভেঙে পড়েছে সেতু
হস্তান্তরের ৩ মাসেই হেলে পড়েছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর উপজেলার বাঘখাওয়ার চর রাস্তার খালে নির্মিত সেতু। যে কোন সময় সেতুটি পুরোপুরি ভেঙে পঢ়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটি নির্মাণের নি¤œমানে রড-সিমেন্ট, তাও পরিমাণে কম দেওয়া হয়েছে। ভাইব্রেটর মেশিন ছাড়া ঢালাই করার পরও সঠিক তদারকি ছিল না। তাই অ্যাপার্টমেন্ট ওয়াল ভেঙে হেলে পড়েছে সেতুটি।
২০১৭-১৮ অর্থ বছরে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব-ধণিরাম গ্রামের আবাসনগামী বাঘখাওয়ার চর রাস্তার খালের উপর নির্মিত হয় ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অর্থায়নে গ্রামীণ রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয় এটি। প্রায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু নির্মাণ ব্যয় হয় ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৬ টাকা। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে সেতুটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কুড়িগ্রাম শহরের পুরাতন রেল স্টেশন এলাকার এটিএম দেলদার হোসেন টিটু নামের এক ঠিকাদার এ সেতুটি নির্মাণ করেছেন।
সেতুটি দিয়ে উপজেলার পূর্ব-ধণিরাম আবাসন ও বাঘখাওয়া চরের প্রায় হাজার মানুষ চলাচল করেন। সরজমিনে দেখা যায়, সেতুটি একটি ¯্রােতহীন নালার উপরে নির্মাণ করা হয়েছে। এর দুই দিকেই বন্যায় মাটি সড়ে গেছে। একদিকে বাঁশের চাটাই দিয়ে চলাচলের করেছে এলাকাবাসী। এখন অ্যাপার্টমেন্ট ওয়াল ভেঙে যাওয়ায় যাতায়তের দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
বাঘখাওয়া চর এলাকার শহর আলী, বজলে রহমান, মরিয়ম বেগম, নাজমা বেগমসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, সেতুটি নির্মাণের সময় অনিয়ম দেখে বাধা দেওয়ায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) তাদেরকে হুমকি ও খারাপ গালি গালাজ করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ জানান, সেতুটি নির্মাণ প্রাক্কলন অনুযায়ী হয় নাই। ফলে ধসে পড়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সবুজ কুমার গুপ্ত জানান, সম্প্রতি বন্যায় সেতুটির নীচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ক্ষতি হয়েছে।
জানতে চাইলে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাছুমা আরেফিন প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, সেতুটি বন্যায় না কি নিম্নমানের কাজের কারণে ভেঙে পড়েছে সেই বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে। এজন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তারা তদন্ত করে রিপোর্ট দিলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
"