বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

  ২০ আগস্ট, ২০১৯

বাউফলে দণ্ডপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যসহকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন

পটুয়াখালীর বাউফলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বাস্থ্য সহকারী শহিদুল ইসলাম (৩৫) এক মাস কারাদণ্ড ভোগ করেন। কিন্তু কারাভোগের আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও নওমালা ইউনিয়নের বাবুর হাট কমিউনিটি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। গত সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

এর আগে গত ৩১ মে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বাস্থ্য সহকারী মো. শহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। ওই সময় শহিদুলের সঙ্গে থাকা একটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ওই মুঠোফোন বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিনিময়ে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় শহিদুলের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) শুভ্রা দাস। পরে তাকে এক মাসের কারাদ- দেয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ‘তিন-চারদিন আগে ইউএনও কাছে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক দ-প্রাপ্ত শহিদুলের কাগজপত্র চেয়েছি। এখনও পর্যন্ত পাইনি। পাওয়া মাত্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।’

কাগজ চাওয়ার কথা অস্বীকার করে উপজেলা ইউএনও পিজুস চন্দ্র দে সাংবাদিককে বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি প্রশিক্ষণের কাজে বিদেশে অবস্থান করছিলাম। পাশের দশমিনার ইউএনও শুভ্রা দাস দায়িত্বে থাকায় ওই দ- প্রদান করেন। পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন শাহ মোজাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে কেউ অবহিত করেনি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close