রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
সংবাদ প্রকাশের পর
রাজৈরের জিয়া খাল উদ্ধার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের জিয়া খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে। রাজৈর পৌর মেয়র অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও খাল খনন কাজ শুরু করেছেন। এর আগে গত ২ আগস্ট রাজৈরের ২০টি খাল নিয়ে দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে পৌর কর্তৃপক্ষের। এদিকে, দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা জিয়া খালের মিল্কভিটা কাঠের পুল থেকে ১নং ব্রিজ পর্যন্ত খনন করা হবে। গত শুক্রবার সকাল থেকে খনন কাজ শুরু হয়েছে। খালটি খননের সময় উপস্থিত ছিলেন রাজৈর পৌর মেয়র শামিম নেওয়াজ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবলু বাঘা, সেলিনা জাহাঙ্গীর ও এলাকাবাসী।
জানা গেছে, একসময় এই খালে (জিয়া খাল) নৌকা করে মানুষ মালপত্র নিয়ে যাতায়াত করত। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দখল আর দূষণে সংকুচিত হয়ে পড়ে খালটি। পরে এলাকাবাসী খালটি উদ্ধার করে সংস্কারের দাবি জানান।
স্থানীয়রা জানান, ময়লা-আবর্জনা ফেলানোর কারনে খাল থেকে দুর্গন্ধ হতো। পৌর মেয়র খালটি খনন করায় আমাদের জন্য খুব ভালো হয়েছে। এখানকার কৃষকরা এখন থেকে সেচ কাজের জন্য খালের পানি ব্যবহার করতে পারবে। ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবলু বাঘা বলেন, মিল্কভিটার স্বরমঙ্গল খালটি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ে। এলাকাবাসী ময়লা ফেলে খালটি প্রায় ভরাট করে ফেলেছে। এছাড়াও দখলদাররা খাল দখল করে বাড়ি নির্মাণ এবং বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা নির্মাণের ফলে খালের পানি প্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। তাই পৌর মেয়রের উদ্যোগে খালটির খনন কাজ চলছে।
রাজৈর পৌর মেয়র শামীম নেওয়াজ প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, স্থানীয়দের কথা চিন্তা করে পৌরসভার ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের স্বরমঙ্গল মিল্কভিটা থেকে শুরু করে ১নং ব্রিজ পর্যন্ত খালটি খনন করা হবে। পর্যায়ক্রমে পৌরসভার সবকটি খাল দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
"