শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
শেরপুরের বেলঘরিয়া পশুর হাটে লুটপাট ও মারধরের অভিযোগ
বগুড়ার শেরপুরের বেলঘরিয়া কোরবানির পশুর হাটে চাঁদার দাবিতে সন্ত্রাসীরা হাট পরিচালনাকারী ও ক্রেতাদের মারধর করে প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের মাদলবাড়িয়া গ্রামের মৃত জয় শংকরের ছেলে বেলঘরিয়া হাট পরিচালনাকারী বিরেন্দ্র নাথ সরকার প্রতিদিনের মতো গত বুধবার সকাল ৮টার দিকে বেলঘরিয়া হাটে অবস্থান করছিল। এ সময় দারুগ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে রায়হান আলী ও বেলঘরিয়া গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে রাশেদ খান হাট পরিচালনাকারী বিরেন্দ্রনাথ সরকারের কাছে হাটের ব্যবসা ভালো হচ্ছে বলে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় ওইদিন বিকাল ৪টার দিকে রায়হান ও রাশেদ খানের নেতৃত্বে ১৩ জন দুর্বৃত্ত পিস্তল, চাকু, হকিস্টিক, রামদা, হাঁসুয়াসহ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেলঘরিয়া গরুর হাটে গিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় রশিদ বই বিক্রির ব্যাগে থাকা প্রায় ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এছাড়া হাটে গরু ক্রয় করতে আসা মোশারফ হোসেনের কাছ থেকে ৯৫ হাজার, ইকবাল হোসেনের ৭০ হাজার, মোকসেদ আলী মন্টুর ১ লাখ ১০ হাজার, মজনু মিয়ার ১ লাখ ৩০ হাজার, আবদুল করিমের সাড়ে ৯৬ হাজার, লুৎফর রহমানের ৭০ হাজার, ব্যবসায়ী কফিল উদ্দিনের সিমেন্টের দোকান থেকে ৭০ হাজার এবং অন্যান্য লোকজনের কাছ থেকে ১ লাখ টাকাসহ ৯ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে হাট পরিচালনাকারী বিরেন্দ্র নাথ সরকার এ ঘটনায় বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তবে এ ব্যাপারে শেরপুর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"