মো. রাজু খান, ঝালকাঠি

  ০৮ আগস্ট, ২০১৯

ঈদুল আজহা

ঝালকাঠিতে মসলার বাজার চড়া

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঝালকাঠিতে গরম হয়ে উঠেছে মসলার বাজার। পাইকারিতে সামান্য বাড়লেও খুচরায় দেড় থেকে দুইগুণ দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা। আর হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, কোরবানির ঈদে মসলার চাহিদা বেশি থাকলেও দেশের পাইকারি বাজারে মসলার সংকট নেই। ফলে দাম বাড়ার কোনো যুক্তি নেই। বরং আগের চেয়ে মসলার দাম অনেকটা কম বলে জানান তারা।

গত মঙ্গলবার জেলার রাজাপুরের বাগড়ি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি জিরা ৪৫০, তেঁজপাতা ২০০ থেকে ২২০, দারচিনি ৩০০ থেকে ৩৫০, লবঙ্গ এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০, এলাচ ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৭০০, কালো গোলমরিচ এক হাজার থেকে ১১শ’, সাদা গোলমরিচ এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৪০০, জয়ফল ৯০০ থেকে এক হাজার, জৈত্রীক দেড় হাজার থেকে এক হাজার ৬০০, কিসমিস ৩০০ থেকে ৪৫০, আলু বোখারা ৬৫০ থেকে ৭০০, কাঠবাদাম ৬৫০ থেকে ৭০০, পোস্তাদানা ৮৫০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪২-৪৫ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০-৩২ টাকা। প্রকারভেদে কেজি প্রতি দেশি রসুন কেজিপ্রতি ১৪০, আদা ১০০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি মসলা বিক্রেতা নুরুল ইসলাম জানান, এবার পাইকারি বাজারে মসলার দাম বাড়েনি। তবে শুনেছি খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীরা বেশি দামে মসলা বিক্রি করছে। এতে দোষ হচ্ছে পাইকারি বিক্রেতাদের। নেনা সাধারণ ক্রেতারা মনে করছেন পাইকারি বিক্রেতারাই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

মসলা ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জানান, রোজায় মসলার দাম বাড়তি ছিল। তা আর কমেনি। এছাড়াও গত সপ্তাহে এলাচ, জিরা, আলু বোখারাসহ বেশ কয়েকটি মসলার দাম বেড়েছে। তাই আমাদের বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাজারে মসলা কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী ফারুক আহমেদ জানান, জিরা কিনতে এসেছি। ২৫০ গ্রাম ইরানি জিরা ১৪০ টাকা চাচ্ছে। এক মাস আগেও ৮০ টাকায় কিনেছি। এছাড়াও আদার দামও কেজিতে ৪০ টাকা বেশি নিচ্ছে। আর এলাচের দাম আকাশ ছোঁয়া। এদিকে, ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যত সরকারি কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close