পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়েছেন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি। গত রোববার বিকালে উপজেলার বগা ইউনিয়নের সাবুপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি জালাল উদ্দিন মৃধার বিরুদ্ধে এ মারধরের অভিযোগ পাওয়া যায়।

শিক্ষকরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে না আসার অভিযোগ তিনি এই কা- ঘটান বলে জানা যায়। তবে সভাপতির এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার বেলা আড়াইটার দিকে সভাপতি জালাল উদ্দিন ক্লাসে ঢুকে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চুল ধরে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটান। এসময় কিছু শিক্ষার্থী ভয়ে দৌড়ে বিদ্যালয়ের ছাদে আশ্রয় নেয়। জালাল উদ্দিন সেখানে গিয়েও তাদের পেটিয়ে আহত করেন।

অভিযুক্ত সভাপতি জালাল উদ্দিন শিক্ষার্থীদের মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। ঠিকভাবে পাঠদান করান না। এরপর ক্লাসে না গিয়ে তারা অলস সময় কাটান। এ বিষয়ে একাধিকবার শিক্ষকদের বললেও শিক্ষকরা তার কোনো কথা শুনছেন না।’ তাই তিনি শিক্ষার্থীদের মেরেছেন বলে দাবি করেন।

এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার সন্তান কোনো অন্যায় করলে শিক্ষকরা বিচার করতে পারেন। কিন্তু উনি (জালাল উদ্দিন) মারার কে? এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে তার সন্তানকে এই বিদ্যালয়ে আর পাঠাবেন না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিত্রী রানী পাল শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনার স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।

জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল হক বলেন, সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। স্কুল সভাপতি বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

শিক্ষকদের নিয়মিত ক্লাস না করার অভিযোগ প্রসঙ্গে এই কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষকরা ঠিকভাবে পাঠদান না করালে তিনি আমাকে বলতে পারতেন।

"