কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

  ২০ জুলাই, ২০১৯

কালকিনির আবদুল আজিজ মোল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

এক শিক্ষক দিয়েই চলছে পাঠদান

শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ১৯৮নং আবদুল আজিজ মোল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক দিয়েই চলছে পাঠদান। বিদ্যালয়ের শিশু থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ৬টি ক্লাস একজন শিক্ষককেই সামলাতে হচ্ছে। শিক্ষার্থী রয়েছে মোট ১২৪জন। একটি ক্লাসে গেলে অন্য ক্লাসগুলো ফাঁকা থাকে। এ কারণে বিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই স্কুলে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে বিদ্যালয় চত্বরে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

জানা গেছে, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে একজন শিক্ষক দিয়েই জোড়াতালির মাধ্যমে চলছে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। প্রথম অধিবেশনে শিশু শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত তিনটি ক্লাস নেওয়া হয়। ওই শিক্ষক একটি ক্লাসে গেলে অন্য ক্লাস ফাঁকা থাকে। একইভাবে দ্বিতীয় অধিবেশনে তৃতীয় শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত তিনটি ক্লাস চলে।

জানা গেছে, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে দিয়েই। তিনিও রয়েছেন ডেপুটেশনে। বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, হারুন হাওলাদার, নাসিমা আক্তার, এরশাদ হাওলাদার, তুহিন প্রমুখ।

৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জানায়, দ্বিতীয় অধিবেশনে তৃতীয় থেকে ৫ম শ্রেণির তিনটি ক্লাস একজন শিক্ষককেই নিতে হয়। অনেক সময় স্যার আমাদের পড়া দিয়ে আবার অন্য ক্লাসে চলে যায়। এ জন্য স্যার আমাদের পড়া ভালোভাবে আদায় করার আগেই ক্লাসের সময় চলে যায়। সামনে আমাদের পরীক্ষা, প্রস্তুতিও নেই তেমনটা। স্যার কম থাকায় অনেক ছাত্র অন্য বিদ্যালয়ে চলেও গেছে। শিক্ষক ঘাটতি থাকায় তাদের পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে বলেও তারা জানায়। শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে একাই শিশু থেকে ৫ম শ্রেণি পযন্ত ক্লাসগুলো নিচ্ছেন। শিক্ষক সঙ্কটে বিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকট থাকলেও শিক্ষা অফিস কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। শিক্ষক সংকটের কারণে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের অন্য বিদ্যালয়ে নিয়ে ভর্তি করিয়েছেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, স্কুলটি নতুন হয়েছে। তাই সেখানে শিক্ষক নিয়োগের পদ সৃষ্টি হয় নাই। তবে শীঘ্রই পদ সৃষ্টি হবে। সেখানে নতুন শিক্ষক দেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close