প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৬ জুলাই, ২০১৯

আকস্মিক ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘরবাড়ি

নান্দাইলে গাছচাপায় স্কুলছাত্র নিহত

গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আকষ্মিক ঘূর্ণিঝড়। গত শনিবার রাতে পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে ও দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আন্যদিকে ময়মনসিংহের নান্দাইলে ঘূর্ণিঝড়ে গাছ চাপায় এক স্কুল ছাত্র নিহতের খবর পাওয়া গেছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

আটোয়ারী (পঞ্চগড়) : পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে আকষ্মিক ঘুর্ণিঝড়ের তান্ডবে শত শত ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া হাজার হাজার গাছপালা উপড়ে ও ভেঙে গেছে। গত ১৩ জুলাই দিবাগত রাত দশটার দিকে উপজেলার কিছু এলাকা দিয়ে আকষ্মিকভাবে বৃষ্টিসহ প্রচন্ড বেগে ঘুর্ণিঝড় বয়ে যায়। ঝড়ে উপজেলার শত শত ঘরবাড়ি সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ে হাজার হাজার গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে পড়ে যায় এবং বৈদ্যুতিক খুটিসহ বৈদ্যুতিক তার ছিন্নভিন্ন হয়ে সকল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সদরে প্রায় ২৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। গতকাল সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনসহ ইউএনও শারমিন সুলতানা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ করেন। এসময় জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাসমুহে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি।

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) : দিনাজপুররে পার্বতীপুরে আকষ্মিক ঝড়ে বাবা-মা-স্বামী হারিয়ে টিকে থাকার এক মাত্র সম্বল শোয়ার ঘরটিও থাকলো না লতিফা বেগমের (৫৫)। গত শনিবার ঝড়োবৃষ্টিতে কাঁচা ঘরটি বিলিন হয়ে গেছে। উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের সিংগীমারী ধোদারপাড়া গ্রামে আপনজন হারানো স্বামী পরিত্যাক্তা হতদরিদ্র লতিফা বেগম মামার দেয়া একখন্ড জমিতে বসবাস করত। ২০ বছর পূর্বে তার স্বামী মোখলেছুর রহমান মারা যান। সৃজনশীল কর্মসূচীর কাবিখা কাবিটা দুঃস্থ কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড ভাগ্যে জোটেনি তার। সমাজ চক্ষুর কারণে ভিক্ষা বিত্তিকে পেশা হিসেবে বেচে নেয়নি সে। প্রতিবেশী আত্বীয় স্বজনদের সহায়তায় নিজেকে দাঁড়ানোর শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল লতিফা। নিরুপায় লতিফা বেগম এখন সব হারিয়ে চোখের জলে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন।

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহের নান্দাইলে ঘূর্ণিঝড়ে ঘরের উপর গাছ উপড়ে পড়ে অরণ্যপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র মো. রুমন মিয়া (১০) নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার ভোররাতে উপজেলার অরণ্যপাশা গ্রামের উপর দিয়ে ঝড়টি বয়ে যাওয়ার সময় ঘরের উপর গাছ উপড়ে পড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকাল মৃত হাদিস মিয়ার ছেলে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসকের পক্ষে শিশুটির দাফন-কাপনের জন্য নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাদ্দেক মেহদী ইমাম ঘটনাস্থলে যান। এসময় তিনি রুমনের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close