সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

  ১২ জুলাই, ২০১৯

সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বছরে চার মাস পানিবন্দি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বালাপাড়া মহল্লার প্রায় তিনশত পরিবারের মানুষ বছরে ৪ মাস পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে জানা গেছে। তাদের এ দুর্ভোগ ১০-১২ বছর ধরে চলছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, মহল্লার প্রতিটি বাড়িতে পানি উঠেছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন মানুষ। গৃহপালিত পশু-পাখির বাসস্থান, রান্না ঘর এমনকি বসত ঘরেও উঠেছে পানি। নারী ও শিশুরা পড়েছেন সবচেয়ে বিপদে। পানিবন্দী নারী ও শিশুদের পায়ে দেখা দিয়েছে ঘা। এছাড়া ডায়েরিয়াসহ পানি সংক্রামক নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার রয়েছে শঙ্কা। কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমরের কাছাকাছি পানি। কখন যেন তাদের আদরের সন্তান পড়ে যায় পানিতে এমন শঙ্কায় পড়েছেন বাবা-মা। স্কুলে যেতে পারছে না কোমলমতি শিশুরা।

রাশেদা (৫০), সালেহা (৪০), রাবেয়া (৬০) ও মৌসুমীসহ (৪০) কয়েকজন গৃহিনীর সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। এ সময় তারা জানান, রান্না ঘরে পানি, গোয়াল ঘরে পানি, এমনকি বসত ঘরেও পানি। রান্না করতে পারি না, একবেলা-আধাবেলা খেয়ে দিন কাটছে আমাদের। শিশুসহ সকলের পায়ে ঘা দেখা দিয়েছে।

কতদিন এ অবস্থা থাকে জানতে চাইলে তারা জানান, বছরের ৪ থেকে ৫ মাস তো হবেই। ১০-১২ বছর থেকে চলছে এ অসহনীয় দুর্ভোগ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী, দুলু মিয়া, ফুল মিয়া, রব্বানী মিয়াসহ অনেকেই একই দুরাবস্থার কথা জানান।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রুবিয়া বেগম বলেন, পানিবন্দী জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে গত ৩ মাস আগে ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। আশাকরি আবহাওয়া পরিবর্তন হলে পুনরায় ড্রেনের কাজ শুরু হবে।

পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ‘আমি পানিবন্দী লোকদের দুর্দশা লাঘবে স্থায়ীভাবে ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। সাময়িকভাবে নির্মাণ কাজে জমি না দেওয়ার জন্য বাঁধাগ্রস্থ হয়েছি। পাটনিদের কয়েকজনকে ঘর সরানোর টাকাও দিয়েছি। তবে আশা করি, আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ড্রেন নির্মাণের অবশিষ্ট কাজ শেষ হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close