ঝিনাইদহ মালিক সমিতির বাস চলাচলে মাগুরা মালিক সমিতির বাধার কারণে ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়কে সব ধরণের গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে যাত্রী ভোগান্তি চরমে উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২ মে ঝিনাইদহ মালিক সমিতির সভাপতি রোকনুজ্জামান রানু ও মাগুরা মালিক সমিতির সভাপতি মীর আবু সাইদসহ উভয় মালিক সমিতির অধিকাংশ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ঝিনাইদহ ও মাগুরা মালিক সমিতির গাড়ি যৌথ রোটেশনে চালানো হবে। এছাড়াও বলা হয়, ঝিনাইদহে ঝিনাইদহ মালিক সমিতির গাড়ি যেখানে যেখানে দাঁড়াবে এবং যে সুবিধা ভোগ করবে, মাগুরা মালিক সমিতির গাড়িও সেখানে দাঁড়াবে এবং একই সুবিধা ভোগ করবে। অনুরুপভাবে মাগুরাতে একই ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে ঝিনাইদহ মালিক সমিতির গাড়িও। বৈঠকের পর গত ২৪ জুন থেকে গাড়ি চালানো শুরু হলে শ্রমিক ইউনিয়নের অসহযোগিতার অজুহাত তুলে মাগুরা মালিক সমিতি মাগুরার ষ্ট্যান্ডগুলোতে ঝিনাইদহের গাড়ি দাঁড়াতে দিচ্ছেনা। এছাড়াও গাড়ি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে আসছে। এ নিয়ে ৩০ জুন ঝিনাইদহ মালিক সমিতিতে, ১ জুলাই মাগুরা মালিক সমিতিতে ও সর্বশেষ ৯ জুলাই ঝিনাইদহ শ্রমিক ইউনিয়নে উভয় মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দর উপস্থিতিতে যৌথ সভা করেও গাড়ি চালানো সম্ভব হয়নি। এতে ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়কে সবধরণের গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে জানাতে চাইলে ঝিনাইদহ মালিক সমিতির সভাপতি রোকনুজ্জামান রানু বলেন, মাগুরা মালিক সমিতির সাথে একাধিকবার ফোনে কথা বলে এবং সভা করে যৌথ রোটেশনে গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তারা নানা অজুহাতে মাগুরাতে আমাদের গাড়ি দাঁড়াতেই দিচ্ছেনা। তারা গাড়ির উপরে নানা ভাবে অত্যাচার করছে। মাগুরার অযৌক্তিক দাবির কারণে এর আগেও গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়েছে। তখন খুলনার কমিশনার অফিসে সভা করে সেই গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এখনও তারা নতুন করে পুরোনো খেলা শুরু করেছে। তবে ঝিনাইদহ মালিক সমিতি তাদের জেলার ভিতরে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রেখেছে। তিনি যৌথ সভার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে গাড়ি চালানো ও ঝিনাইদহের গাড়ি চলাচলে বাঁধা না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

"