চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি

  ০৯ জুলাই, ২০১৯

নেশার টাকা না পেয়ে

গোদাগাড়ীতে হাতুড়ির আঘাতে মা ভোলাহাটে কুপিয়ে স্ত্রীকে হত্যা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার খড়গপুরে আয়েশা খাতুন (৪৭) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তার স্বামী। গতকাল সোমবার বেলা ২টার দিকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় আহত হন তার মেয়ে ও মেয়ের জামাই। নিহত আয়েশা খাতুন ওই গ্রামের কোবাদ আলীর স্ত্রী। ঘটনার পরই কোবাদ আলী পালিয়ে যান।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দুপুরে নেশা করার জন্য স্ত্রীর কাছে টাকা চান কোবাদ আলী। স্ত্রী আয়েশা খাতুন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে একপর্যায়ে কোবাদ হাসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন আয়েশা খাতুনকে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আয়েশা খাতুন। আয়েশাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে কোবাদ মেয়ে হাবিবা খাতুন ও তার জামাই সাদেকুল ইসলামকেও হাসুয়া দিয়ে আঘাত করেন। তাদের প্রথমে ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি নাসিরউদ্দীন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরই পালিয়ে যান কোবাদ। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।

এদিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী প্রতিনিধি জানান, নেশার টাকা না দেয়ায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় হাতুড়ির আঘাতে মাকে খুন করেছেন এক মাদকাসক্ত যুবক। গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার আরিজপুর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিনা বেগম (৫০) ওই এলাকার মো. শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে ছেলে আবদুস সালেক (৩২) পলাতক রয়েছে। ওসি জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রাতে বাড়িতে সালেক ও তার মা সেলিনা বেগম ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। এসময় নেশা করার জন্য সালেক তার মায়ের কাছে টাকা চান। কিন্তু মা টাকা দিতে রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সালেক তার মায়ের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই মা সেলিনা বেগমের মৃত্যু হয়।

এরপর সালেক গলায় রশি পেঁচিয়ে মায়ের মরদেহ ঝুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন যাতে সবাই আত্মহত্যা বলে মনে করে। কিন্তু গলায় ফাঁস লাগানো থাকলেও শরীরের বেশিরভাগ অংশ মেঝেতেই ছিল। আবার মাথা থেকে রক্ত ঝরছিল। ঘটনাস্থল পড়ে ছিল হাতুড়িও। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতুড়ি জব্দ করেছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে গোদাগাড়ী সার্কেলের এএসপি আবদুর রাজ্জাক জানান, নিহত সেলিনা বেগমের ছেলে আবদুস সালেক উচ্চশিক্ষিত। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সে মাদকাসক্ত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close