দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি

  ০৭ জুলাই, ২০১৯

‘চিকিৎসকের অবহেলায়’ প্রসূতি মৃত্যু

চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলায় দাকোপে তানিয়া খাতুন (৩৫) নামের এক প্রসুতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার বিকেলে সন্তান প্রসবের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গতকাল শনিবার সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের পর রোগীর অবস্থা অবনতি হতে থাকে। পরে খুলনা গাজী মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রসুতি তানিয়াকে গত শুক্রবার বিকাল ৪টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এসময় গাইনী ডাক্তার সন্তোষ মজুমদার হাসপাতালে ছিলেন না। মোবাইল ফোনে তার কথামত রোগী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ডাক্তার এসে বলেন প্রসুতির নরমাল ডেলিভারি হবে। রাত্রে রোগী চিৎকার চেচামেচি করলেও ডাক্তার ও নার্সদের ডেকে পাওয়া যায়নি। নার্সরা বলে, রোগী নরমাল ডেলিভারি হবে কোনো সমস্যা নেই। পরদিন শনিবার সকালে রোগীর প্রচন্ড পেইন উঠলে ডাক্তার দ্রুত রোগীকে ওটিতে নিতে বলেন এবং সিজার করেন। সিজারে অনেক সময় লাগায় রোগীর স্বজনরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। সন্তান প্রসবের পর রোগীর অবস্থা খারাপ হলে ডাক্তার জরুরী ভিত্তিতে তাকে খুলনাতে নেওয়ার কথা বলেন। সকাল ১০টার দিকে রোগীকে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ বিষয়ে জানতে ডাক্তার সন্তোষ মজুমদারকে হাসপাতালে না পেয়ে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া সম্ভব হয়নি। মৃতের ভাসুর মামুনুর রশিদ সাংবাদিকদের জানান, ডাক্তার ও নার্সদের অবহেলার কারণে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সময়মত চিকিৎসা দিলে রোগীর মৃত্যু হত না। এর আগেও এই ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারনে কয়েকজন প্রসুতি মায়ের মৃত্যু হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close