এম আর অভি, বরগুনা

  ২৬ জুন, ২০১৯

বরগুনা প্রাণিসম্পদ দফতর

জনবল সংকটে সেবা ব্যাহত

জনবল সংকটে বরগুনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস। কর্তব্যরতরা হিমশিম খাচ্ছে প্রাণিকূলকে চিকিৎসা দিতে। এ জেলায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পদ পাঁচটি, ভেটেরিনারি সার্জন পদ একটি, প্রাণিসম্পদ সহকারীর পদ চারটি, ভেটেরিনারি ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট পদ একটি এফএআই পদ পাঁচটি, ভেটি কম্পাউন্ডার পদ দুটি, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার পদ তিনটি, ড্রেসার পদ দুটি এবং অফিস সহায়কের তিনটি পদই শূন্য রয়েছে।

সিডর, আয়লা, মহাসেন, নার্গিস ও ফণীসহ বড় বড় প্রলংকরী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এ জেলার প্রাণিসম্পদকূলের (গবাদি পশু) ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রাণিকূলে দেখা দেয় মহামারী অবস্থা। মারাত্মক হুমকিতে পড়ে কৃষকরা। ঘূর্ণিঝড় ফণীতেও অনেক কৃষকের গবাদি পশু মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ে। আর এসব মুহূর্তে উপকূলীয় মানুষ সাহসীকতার সঙ্গে তাদের সব অবলম্বনসহ প্রাণিসম্পদ নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের দারস্থ হয়। আর সেখানে জনবল সংকট থাকার কারণে প্রাণিকূলের চিকিৎসা দিতে এবং নিতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। সাধারণ মানুয়ের দাবি দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগে জনবল সংকট সমাধান করা হোক।

বরগুনা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. বেনজির আহাম্মেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান, একইসঙ্গে দুটি পদের দায়িত্ব পালনে চাপ সৃষ্টি হয়। তাছাড়া তৃণমূলে সেবা পৌঁছাতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। অপরদিকে এ জেলায় প্রাণিসম্পদ বিভাগে জনবল সংকটের বিষয় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংকটের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উপকূলীয় জেলা হওয়ায় এ জেলার বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র। দরিদ্র পরিবারগুলোর বেশির ভাগই গবাদি পশু লালন পালন করে থাকে। ৫ লাখের অধিক গবাদি পশু আছে এখানে। তবে সে তুলনায় আমাদের জনবল অপ্রতুল। জনবল কম থাকায় আমরা কাক্সিক্ষত চিকিৎসাসেবা দিতে পারছি না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close