কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

  ১৪ জুন, ২০১৯

কচুয়া-গৌরিপুর সড়ক

কাজ শেষ হতে না হতেই ভেঙে যাচ্ছে রাস্তা

চাঁদপুরের গুরুত্বপূর্ণ গৌরিপুর-কচুয়া-হাজীগঞ্জ সড়কের কাজ শেষ না হতেই ভেঙে যাচ্ছে। কোনো কোনো স্থানে সড়ক ভেঙে প্রায় মাঝখানে এসে পড়েছে। ঠিকাদার সড়কের কাজের বিভিন্ন স্তরে বালি, খোয়া ও পাথর আনুপাতিক হারে মিশ্রণ না করার কারণে এ ভাঙন দেখা দিচ্ছে বলে স্থানীদের অভিযোগ। গৌরিপুর থেকে হাজীগঞ্জ পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার সড়ক দিয়ে কচুয়া, হাজীগঞ্জ, মতলব, চাঁদপুর, রামগঞ্জ, লক্ষ¥ীপুর ও নোয়াখালী অঞ্চলের লোকজন ঢাকা, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও চট্টগাম যাতায়াত করে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কের কাজ হচ্ছে। এর মধ্যে দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কের বাঁক সরলীকরণ, ব্রিজ, কালভার্টের নির্মাণ করা হবে। কুমিল্লার মেসার্স এমআরসি ও মেসার্স হাসান বিল্ডার্সের নির্মাণকাজ করছে। বাঁক সরলীকরণ, ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষে সড়কে মজবুতীকরণের কাজ চলছে। চাঁদপুর সওজ অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। মঙ্গলবার সরেজমিন নির্মাণ কাজে সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তদরকিও খুব একটা চোখে পড়েনি। দেখা যায়, ১২টি বাঁক সরলীকরণ, চারটি কালভার্ট ও একটি ব্রিজ এরই মধ্যে নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। নির্মাণাধীন এ সড়কের অন্তত ২২টি স্থানে ভেঙে যাচ্ছে। ভেঙে যাওয়া কোনো কোনো স্থানে লাল পতাকাও দেওয়া হয়নি। ফলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গাড়িচালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়কে পালাখাল মোড়ে দুটি, দোয়াটি মোড়ে দুটিসহ অন্তত চারটি স্থানে বাঁক সরলীকরণ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে।

কারণ বাঁক সোজা করার কথা থাকলেও প্রকৃত পক্ষে সোজা করা হয়নি। ফলে বাঁকের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের গাড়ি দেখা যায় না। জানতে চাইলে চাঁদপুর সওজ বিভাগের নির্বহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামের মুঠোফোনে প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, বৃষ্টির কারণে এই ধরনের ধস দেখা দিতে পারেন। তা-ও ১০০ মিটারের বেশি নেই। আমাদের কাছে ঠিকাদারের জামানত আছে, তাকে চাপে রাখছি। দুই-চার দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলো সংস্কার করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close