আরিফ খাঁন, বেড়া (পাবনা)

  ১০ জুন, ২০১৯

প্রতিদিনের সংবাদ-এ প্রকাশের পর

সাড়ে চার ফুট হলো সেই দেড় ফুট রাস্তা

পাবনার বেড়া উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের (ইউএনও) হস্তক্ষেপে দেড় শতাধিক সংখ্যালঘু পরিবারের সেই ‘দেড় ফুট রাস্তা’ সাড়ে চারফুট হয়েছে। উপজেলার আমিনপুর থানাধীন পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের হরিরাথপুর গ্রামের এই ঘটনা ঘটে।

উপজেলার পুকুরচালা পাড়া এলাকাবাসীর চলাচলের রাস্তা না রেখে গুদাম ও অফিস নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে ওই এলাকার প্রায় পাঁচশতাধিক মানুষের যাতায়াতের জায়গা সংকীর্ণ হয়ে চলাচলের অনুপযুগী হয়ে পড়েছিল। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘দেড় শতাধিক পরিবারের জন্য দেড় ফিট রাস্তা’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পরে তা উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে।

এলাকাবাসি জানান, রাস্তা না রেখে দোকান, গুদাম ও অফিস নির্মাণ করায় বাড়িতে যাতায়াতসহ রিকশা-ভ্যান চলাচলের রাস্তা না থাকায় তারা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করতে হাট-বাজারে যেতে পারতেন না। যেখান দিয়ে একজন কোন রকমে বের হতে পারলেও কোন আসবাবপত্র অথবা একসাথে একাধিক ব্যক্তি চলাচল করা যায় না। কোন মানুষ অসুস্থ বা মারা গেলে তাকে তিনজন মিলে মাথার উপরে করে এলাকা থেকে বের করতে হয়। তাদের অভিযোগ, সবাই বিষয়টি জানলেও মূলত প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ধর্না দিয়েও কোন সমাধান পাননি। প্রতিদিনের সংবাদে খবর প্রকাশের পর বেড়া ইউএনও জায়গার মালিকদের সঙ্গে দফায় দফায় শালিস বৈঠক করেন। দীর্ঘ পাঁচমাস চেষ্টার পরে রাস্তা পায় সংখ্যালঘু পরিবারগুলো।

পুকুরচালা পাড়ার মানিক কুমার শীল বলেন, আমাদের এত দিনের বড় সমস্যা ইউএনও মহোদয় সমাধান করে দিয়েছেন। এ জন্য আমরা এমপি, ডিসি, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন, ওই জায়গাটি ব্যাক্তি মালিকানাধীন। তাই ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ আইন অনুসারে গণউপদ্রব হিসেবে জনগণের সুবিধার্থে মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। এতে দুইপাশ থেকে দেড় ফিট করে মোট সাড়ে চার ফিট রাস্তা বের করতে সক্ষম হই। কাজটা সমাধান হওয়াতে আমি নিজে থেকেই তৃপ্ত। তবে এটা আমাদের সরকারি দায়িত্বের মধ্যেই পরে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close