কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

  ২৬ মে, ২০১৯

কুয়াকাটা বাইতুল আরজ জামে মসজিদ

মসজিদের টাকা সভাপতি সম্পাদকের পকেটে, জমি কিনেছেন ঈমাম

পটুয়াখালীর পর্যটন উপজেলা কুয়াকাটার কেন্দ্রীয় বাইতুল আরজ জামে মসজিদের দৃশ্যমান সাড়ে আট লাখ টাকাসহ মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ মুসুল্লিরা অভিযুক্তদের পরিচালনা পর্ষদসহ ঈমাম হুমায়ুন কবিরকে বহিস্কার করেছেন। পাশপাশি তসরুপকৃত টাকা পরিশোধের মুচলেকা আদায় করেছেন।

মসজিদ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন অনুদান থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই সংস্কার, খতিব ও মুয়াজ্জিমের বেতনসহ পরিচালনা ব্যয়ভার বহন হয়ে আসছে। হিসবারক্ষকের পদ না রেখেই প্রায় দশ বছর ধরে মসজিদ পরিচালনা করছেন সভাপতি শাহ-আলম শেখ, সম্পাদক সোহরাব শেখ। এক দশকেও কোন হিসাব প্রদান না করায় ১০ মে জুম্মার পর মুসুল্লিদের দাবীর মুখে মসজিদের আয়-ব্যায়ের হিসাবের জন্য শেখ জিয়াউর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি নীরিক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির অনুসন্ধানে জানা যায়, অগ্রণী ব্যাংকের কুয়াকাটা শাখায় মসজিদের নামের একাউন্টে কোনো টাকা নাই।

জানতে চাইলে নিরীক্ষা কমিটির সম্পাদক নুর আলম শেখ জানান, হিসাব শেষে দেখা যায় ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালে ১০ মে পর্যন্ত সব ব্যয় বহনের পড়েও সভাপতি শাহ-আলম শেখের কাছে ৭ লাখ ৫২ হাজার ১৫৬ টাকা এবং সম্পাদক সোহরাব শেখের কাছে ৭২ হাজার ৮৫০ টাকাসহ মোট ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। এছাড়াও সোহরাব শেখের কাছে ৪০ বস্তা খোয়া গচ্ছিত রয়েছে।

নিরীক্ষা কমিটির সভাপতি শেখ জিয়াউর রহমান জানান, ১৭ মে এসব টাকা মসজিদের ব্যাংক হিসাবে জমাদানের জন্য নোটিশ প্রদান করা হলেও এখনো তারা টাকা পরিশোধ করেনি। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চেয়েছেন তারা। তবে টাকা পরিশোধ না করা হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা জানান তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুসুল্লী জানান, মসজিদের টাইলস ও এসি শাহ-আলম শেখ অনুদান দিলেও টাকার হিসাবে ঘাটতি দেখা দিলে এর মূল্য বাবদ ৪ লাখ ১১ হাজার ৭৯০ টাকা কেটে নিয়ে যায়। এদিকে মাসিক সাড়ে ৯ হাজার টাকার বেতনের ঈমাম মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে কুয়াকাটায় ২০ লাখ টাকার জমি ক্রয় করেছেন কিভাবে তা খতিয়ে দেখা উচিৎ?

জানতে চাইলে নিজের কাছে ৩০ হাজার টাকা থাকার কথা স্বীকার করে সাবেক সম্পাদক সোহরাব শেখ জানান, সভাপতি শাহ আলম শেখ মসজিদের হিসাব পরিচালনা করতেন। বিভিন্ন সময়ে কাজ করতে গিয়ে হিসাব লিখে না রাখার কারণে এমন গড়মিল হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। তবে কমিটির সাবেক সভাপতি শাহ-আলম শেখের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close