নিকলী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ২৫ মে, ২০১৯

নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

১০ বছর ধরে অকেজো এক্স-রে মেশিন

নানা সমস্যায় জর্জরিত কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এখানকার এক্স-রে মেশিনটি প্রায় ১০ বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।

জানা গেছে, ২০০৩ সালে এক্স-রে মেশিনটি স্থাপন করা হয়েছিল হাসপাতালের একটি পুরাতন কক্ষে। পরে যান্ত্রিক ত্রটি দেখা দিলে বেশ কয়েকবার এক্স-রে মেশিনটি মেরামত করে সেবা দেওয়া হচ্ছিলো রোগীদের। এভাবে কোন রকমে চিকিৎসা কার্যক্রম চললেও ২০১০ সালের শুরুতেই মেশিনটি পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়ে। এর পরে বেশ কয়েকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মেশিনটি মেরামতের জন্য লিখিতভাবে জানানো হয়। পুরাতন মডেলের মেশিন হওয়ায় এক্স-রে মেশিনটি মেরামতের মাধ্যমে সচল করা যাচ্ছে না বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।

২০১০ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের কথা থাকলেও তা আজও স্বপ্নই রয়ে গেছে। এদিকে হাসপাতালের এক্সরে-মেশিনটি প্রায় ১০ বছর ধরে বিকল অবস্থায় রয়েছে। ফলে দুর থেকে কষ্ট করে আসা গ্রামীণ পল্লীর দরিদ্র মানুষরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এক্সরে-মেশিন অচল থাকায় রোগীদের উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূর কিশোরগঞ্জ জেলা সদর থেকে এক্স-রে করিয়ে আনতে হচ্ছে। গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। এতে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। অথচ হতদরিদ্র মানুষের বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবার একমাত্র অবলম্বন সরকারি এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ ডি মাহমুদ (আসাদ) এ প্রতিনিধিকে জানান, এক্স-রে মেশিনটি ১৯৬৪ সালের এ্যানালগ মডেলের। বর্তমানে এর কোন পার্টস বা যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় না। সে কারণে আর মেরামত করা সম্ভব নয়। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নতুন একটি এক্স- রে মেশিন সরবরাহ করার জন্য জোর তাগিদ দিয়ে আসছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close