পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বরগুনার আমতলীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জিপাড়ার কারিগররা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোশাক সরবরাহ করার লক্ষ্যে দম ফেলারও ফুসরত পাচ্ছেন না তারা। এদিকে, পছন্দের পোশাক তৈরি করতে দর্জির দোকানগুলোতে ভিড় করছেন গ্রাহকরা।

গতকাল শুক্রবার আমতলী উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দর্জির দোকানে অর্ডারিরা ভিড় করছেন। উৎসব আসলেই এ মার্কেটগুলোতে নারীদের পদচারণাও বাড়তে থাকে। শুক্রবার দর্জির দোকানগুলোতে নারীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।

মার্কেটে আসা ইসরাত ও শাহনাজ শেলী নামের দুই গৃহবধূ জানান, ছেলেমেয়েদের চাহিদা অনুযায়ী একটু ভালো কাপড় কিনে বাহারি পোশাক তৈরির জন্য দর্জির দোকানে এসেছি। কিন্তু দর্জিরা অর্ডারের ভিড়ে মজুরিও অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। এরপরও বাধ্য হয়ে পোশাক তৈরির জন্য তাদের কাছে আসছি।

উপজেলার আমান ব¯্রালয়ের মালিক হোসাইন লিটন জানান, এ বছর ক্রেতারা কাপড় কিনে বিভিন্ন দর্জির দোকানে তাদের পছন্দ মাফিক পোশাক বানাচ্ছে।

এদিকে, দর্জি দোকানগুলোতে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করে বিরতিহীনভাবে রাতভর পোশাক তৈরির কাজ চলছে। ক্রেতাদের অর্ডার নিতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন তারা।

পুরান বাজারের জাফর টেইলার্সের মালিক জাফর জানান, প্রথম রমজান থেকেই কাজের চাপ শুরু হয়েছে। ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ার পরও এখনো অর্ডার নিচ্ছি। কারণ কারিগর বেশি থাকার ফলে কাজের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।

দর্জির দোকানে আসা মনিরা পারভীন, লুৎফা, ময়নাসহ কয়েকজন জানান, কাপড়ের দাম বাড়ার পাশাপাশি মজুরিও বেড়ে যাওয়ায় এবার ঈদে বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে।

"