শেরপুর প্রতিনিধি

  ২২ মে, ২০১৯

শেরপুরে সাড়ে ৪ মাসে অর্ধশতাধিক ধর্ষণের অভিযোগ

‘ধর্ষণ-সংক্রান্ত এত পরীক্ষা করতে বিব্রত হচ্ছি’

চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত সাড়ে ৪ মাসে শেরপুর জেলায় অর্ধশতাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে শিশু ও কিশোরীর সংখ্যা শতকরা ৬৬ জন। ধর্ষণের এই ঘটনায় বাদ যায়নি ৬-৭ বছরের শিশু থেকে শুরু করে প্রতিবন্দী। ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুদের আইনি মোকাবেলার জন্য সিভিল সার্জন অফিসে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিবন্ধন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

নিবন্ধন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের শুরু থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ৫৫ জন নারী ধর্ষনের স্বীকার হয়েছে। এই ভিকটিমদের মধ্যে অন্তত ৩৬ জন শিশু ও কিশোরী বাকীরা ১৮ বছরের উর্ধ্বে।

এর মধ্যে চলতি মাসের ১১ তারিখে একইদিনে নকলা উপজেলার ভূরর্দী ও মধ্যনকলায় দুই শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। দুইজনের মধ্যে একজনের বয়স ৬ বছর ও অপরজনের ৭। এদিকে এতিম বুদ্ধিপ্রতিবন্দী তের বছরের এক কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে বিচারের দাবী করেছেন। মেয়ের দাদা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ধর্ষণের পরিমাণ দেখে শেরপুরের মানবাধিকার কর্মী ডালিয়া সামাদ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘শেরপুর কি ধর্ষণপুর হয়ে যাচ্ছে!’ ধর্ষণে ঘটনা বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ এই নারী নেত্রী বলেন, ‘মেয়েরা না ঘরে না বাইরে, কোথাও নিরাপদ না। মেয়েদের বাঁচাতে চাইলে ছোট থেকেই লড়াকু মানুষিতা তৈরি করতে হবে। এজন্য নারীদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

ধর্ষণের পরীক্ষা-নিরীক্ষাকারী এক নারী ডাক্তার নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘ধর্ষণ সংক্রান্ত এত পরীক্ষা করতে বিব্রত হচ্ছি।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন বলেছেন, ধর্ষণের অভিযোগ পেলেই পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিবে এমন নির্দেশনা রয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ জিরো টলারেন্স। শেরপুরে যত গুলো ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে পুলিশ সবাইকে ধরে আইনের কাছে সোপর্দ করেছে। তিনি জানান, এই বিষয়ে গণসচেতনতা বাড়াতে পুলিশ নানা কর্মসূচি চালাচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close