আসাফুর রহমান কাজল, মহানগর (খুলনা)
জমতে শুরু করেছে খুলনার ঈদবাজার
জমতে শুরু করেছে খুলনা নগরীর ঈদ বাজার। এখনও ঈদের বাকি ঢের। তারপরও বসে নেই ক্রেতার আর বিক্রেতারা। তীব্র গরম উপেক্ষা করে নগরীর নিউমার্কেট, শপিংমল, কাপড়ের মার্কেটগুলোতে দিনকে দিন বাড়ছে ক্রেতার ভিড়। এরিমধ্যে দোকানিরা ঈদের নতুন আয়োজন নিয়ে বসেছে। পোষাক, কসমেটিক্স এবং জুতার দোকানগুলোতে বেচাবিক্রি বাড়ছে সমান তালে। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ যতই ঘনিয়ে আসবে, বেচাবিক্রির পরিমাণও বেড়ে যাবে।
নগরীর অধিকাংশ শপিংমল, বিপণিবিতান এবং দোকানগুলোতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বিক্রয় প্রতিনিধিরা। তারা একদিকে দোকানের মালামাল সাঁজাতে ব্যস্ত, অন্যদিকে ক্রেতাদের সামলাতে ব্যস্ত। পোষাকের মধ্যে এবারও নারী ক্রেতাদের চাহিদা সিরিয়ালের নামের কিছু পোষাক। তবে তীব্র গরমের কারনে টিস্যু কাপড় এবং সুইজ কটোনের বেশি চাহিদা রয়েছে বলে জানান, নগরীর সোহরাওয়ার্দী মার্কেটের সুইটি ফ্যাশানের স্বত্বাধিকারী মোঃ বিল্লাল হোসেন। এছাড়া গাউন, কোটি, ওয়ানপিসের চাহিদাও রয়েছে। এবার এখনো পোষাকের নাম আসেনি। তবে কিছু কিছু পোষাকের নাম, অনেক দোকানিরা নিজে থেকেই দিচ্ছে।
একদিকে রোজা অন্যদিকে প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে কেনাকাটা করতে আসছে ক্রেতারা। ফলে জমছে ঈদ বাজারে। ঈদে নতুন পোষাক কিনতে হবে। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে ঝলমলে লাইটিং এবং পরিপাটি পরিবেশে ক্রেতাদের চাহিদার পন্য দেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে বিক্রেতারা। এ দোকান, সে দোকান ঘুরে পছন্দের পোষাক, প্রসাধনী পণ্য কিনছেন ক্রেতারা। প্রতিবছরের মতো এবারও মেয়েদের পোষাকে প্রভাব পড়ছে বলিউড, হিন্দি-বাংলা সিরিয়ালের ওপর। অনেকে আবার পোশাকের সাথে ম্যাচিং করে ভিড় করছে জুতা, কসমেটিক্স ও জুয়েলার্সের দোকানে।
ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে কর্মরত মো. মোসাররাফ হোসেন জানান, ক’দিন পরে মার্কেটে ঢোকা যাবে না। তাই আগে থেকে কেনাকাটা করে রাখছি। অনেক গরম পড়েছে, তাই মেয়ের জন্য সুইস কটন নিলাম।
খুলনা মডেল স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র মোঃ জসিম হোসেন এবার আগে থেকেই জামা, প্যান্ট এবং জুতা কিনে প্যাকেট করে রাখবে। ঈদের দিন বের করবে বলে জানায়।
শেখপাড়ার বাসিন্দা রাবেয়া রেজা চায়না জানান, এবার অনেক গরম। তাই হালকা ধরণের কসমেটিক্স নিচ্ছি সাথে জুয়েলারি। প্রতিটা দোকানে এবার ভাল ভাল কালেকশন এসেছে। জামা কিনতে গেলে প্রত্যেকটাই পছন্দ হয়।
খুলনা নিউ মার্কেট এলাকার রিয়েল এক্সপোর্টের স্বত্বাধিকারী মোঃ বিল্লাল হোসেন জানান, বেচাকেনা আরও বড়েবে চাকরিজীবীদের কাছে বোনাসের টাকা আসলে। তবে এখনও বেচাকেনা কম নয়। এবার যুবকরা পাঞ্জাবির পাশাপাশি জিন্সপ্যান্টের প্রতি ঝোক দিচ্ছে। খুলনা নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা ফেরিঘাট এলাকার শাহিদা চৌধুরী জানান, এবার ঈদ বাজারের কালেকশন খুবই ভালো। দাম বেশি মনে হলেও মানসম্পন্ন। ঈদ যতো ঘনিয়ে আসছে ততো ভিড় বাড়ছে তাই আগে থেকে কাজ কমিয়ে রাখছি।
নগরীর সিমেন্ট্রি রোড এলাকার প্রজাপতি স¤্রাটের বিক্রয়কর্মী মো. রাতুল হাসান জানান, প্রতিদিন বেচাবিক্রি বাড়ছে। ক্রেতারা আগে জামা-কাপড় কেনে, তারপর ম্যাচিং করে জুতা কিনছে। তবে অনেকেই আগে পছন্দের জুতা কিনছে।
"