মহানগর (সিলেট) প্রতিনিধি
চিকিৎসককে ‘হুমকি’
গ্রেফতারের পরই মুক্তি
সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসককে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন চৌধুরীকে গ্রেফতারের কিছু সময় পরই ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। হুমকির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আগাম জামিন নিয়ে রেখেছিলেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টায় সিলেট নগরের বন্দরবাজারের কোর্ট পয়েন্ট এলাকা থেকে সারোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার কাছে আগাম জামিনের নথি থাকায় তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিঞা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সারোয়ারের আগাম জামিন নেওয়া ছিল। এ বিষয়ে আদালতের নথি আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার রাতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সারোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ঘটনার চার দিন পর নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ফেরদৌস হাসান। মামলায় সারোয়ারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আর ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং ১৩ জন চিকিৎসককে সাক্ষী করা হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার বিকালে ওই ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছিলেন ফেরদৌস হাসান। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে গত শনিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
সোমবার দুপুরেও সংবাদ সম্মেলন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের দাবি জানান ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এই সংবাদ সম্মেলনের পর রাতে মামলা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকালে ১০ থেকে ১৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী পেটের পীড়ায় ভোগা একজনকে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন রোগীর সঙ্গে একজন থেকে বাকিদের বাইরে যেতে বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চিকিৎসকের ওপর চড়াও হন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সারোয়ার হোসেন চিকিৎসক নাজিফা আনজুম নিশাতকে ছুরি প্রদর্শন করে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন ওই চিকিৎসক। নিশাত নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি উল্লেখ করে পোস্ট দিলে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
"