নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি

  ১৪ মে, ২০১৯

বাল্যবিয়ের ১ মাসের মাথায় লাশ হলো বালিকাবধূ ফারজানা

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার পল্লীতে বাল্য বিয়ের এক মাসের মাথায় লাশ হলো গৃহবধূ ফারজানা (১৫) নিহতের পরিবারের অভিযোগ, যৌতুক না পেয়ে তাকে নির্যাতনের পর গলা টিপে হত্যা করেছে স্বামী রকি হোসেন। গতকাল সোমবার সকালে স্বামীর বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি বাশ ঝাড় থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের আগাপুর গ্রামের আবুল কালামের কিশোরী মেয়ে ফারজানার একমাস আগে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী পারশুন গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে রকি হোসেনের সাথে। বিয়ের সময় ২৫ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়ার কথা থাকলেও ফারজানার বাবা পরিশোধ করতে পারেনি। এক বছর পর যৌতুকের টাকা দিবে মর্মে ১৫ দিন আগে মেয়েকে স্বামীর বাড়িতে রেখে যায়। সোমবার ভোরে স্বামীর বাড়ির পার্শ্বে বাঁশঝাড়ে ড্রেনের মধ্যে ফারজানার মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় প্রতিবেশীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই স্বামী রকি হোসেন পালিয়ে যায়।

নিহত ফারজানার পিতা আবুল কালাম বলেন, রকি তাঁর প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর ফারজানাকে বিয়ে করে। বিয়ের সময় কথা হয় যৌতুকের ২৫ হাজার টাকা এক বছর পর দেওয়ার। যৌতুকের টাকা না পেয়েই ফারজানাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার।

কুমিড়া পন্ডিতপুকুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নূর মোহাম্মদ বলেন, নিহতের গলায় ও গালে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ধারনা করা হচ্ছে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close