মো. গোলাম রসুল, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)

  ০৩ মে, ২০১৯

চৌদ্দগ্রামে সরকারি খাল দখল করে মার্কেট নির্মাণ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের পাতড্ডা বাজারে সরকারি খাল দখল করে একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে খালটি ক্রমশ সংকুচিত হয়ে নাব্যতা হারাতে বসেছে। জানা গেছে, দূর্গাপুর-জঙ্গলপুর খালটি ডাকাতিয়া নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। ফলে বৃষ্টির সময় পাহাড়ি ঢলের পানি খালটি দিয়ে ডাকাতিয়া নদীতে গিয়ে মিশে। বছরের অধিকাংশ সময় খালের পানি পাশের ফসলি জমিতে ব্যবহার করেন কৃষকরা। কিন্তু পাতড্ডা বাজার এলাকায় কয়েকদিন ধরে প্রভাবশালী লিটন মজুমদার খালের দক্ষিণ পাশে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। সেখানে বড় আকারে দোকান করবে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। এরআগে মানু চৌধুরী, ফারুক চৌধুরী ও বেলাল চৌধুরী বাড়ির খালের উত্তর পাশে দেয়াল নির্মাণ করে বাড়ির বাউন্ডারি দিয়েছে। এতে করে ওই খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ সরু হয়ে গেছে। শীত মৌসুমে জলশূন্যতা ও বর্ষায় জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। সরেজমিনে দেখা যায়, পাতড্ডা বাজার সংলগ্ন খালের উত্তর পাশের তীর আগেই প্রভাবশালী মহল দখল করে বাড়ির বাউন্ডারি নির্মাণ করেছেন। দক্ষিণ তীর ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ করছে প্রভাবশালী লিটন মজুমদার। গত বুধবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খালে স্থাপনা নির্মাণ করতে নিষেধ করলেও রাতেই প্রভাবশালী লিটন মজুমদার নির্মাণ কাজ শুরু করার অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কৃষক জানান, এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে খালটি খনন করা হয়নি। তার ওপর প্রভাবশালীরা খালের ভেতর ঘর ও দোকানপাট তুলে খালটি নষ্ট করছে। এর প্রতিকার না হলে এ খাল মরে যাবে। খাল মরে গেলে এলাকার কৃষি আর কৃষকও মরবে।

লিটন মজুমদার বলেন, ‘আমার নকশা করা জায়গা ভরাট করছি। সরকারি খাল ভরাটের প্রশ্নই আসে না’। স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া জানান, ‘ যেভাবে খাল ভরাট করা হচ্ছে তাতে বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাশনে সমস্যা হবে। কৃষি জমি ও কৃষকদের কথা চিন্তা করেই অবৈধ দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি প্রয়োজন’। ইউএনও শেখ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close