উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিনিধি

  ২৮ এপ্রিল, ২০১৯

উজিরপুরের সন্ধ্যা নদী দখল করে দোকান-বাসভবন

বরিশালের উজিরপুরের প্রকাশ্যে সন্ধ্যা নদী দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন একাধিক প্রভাবশালী। উপজেলার ধামুড়া এলাকায় নদীর প্রায় ১ কিলোমিটার জায়গা ভরাট করে দখলে নিয়ে দোকান ও বসত ঘর নির্মাণ করছেন তারা। স্থানীয় প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করায় প্রভাবশালীরা নির্ভয়ে দখল করছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

সরোজমিনে দেখা যায়, গৌরনদী-ধামুড়া-মিরেরহাট এলাকাজুড়ে সন্ধ্যা নদী বিস্তৃত। এর ধামুড়া পয়েন্টের বাজার এলাকায় পশ্চিম পাড়ে প্রায় ২৫ দোকান মালিকরা নদী দখল করে তাদের স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। এছাড়া ওই এলাকায় জমির দাম বেশি হওয়ায় প্রভাবশালী ও বিত্তবানরা রাতারাতি নদীর বিরাট অংশ স্থায়ীভাবে দখলে বহুতলা ভবনও নির্মাণ করেছেন।

এদিকে কয়েক বছর আগে ধামুড়া এলাকায় নদী ভাঙ্গন রোধে ব্লক তৈরি করে ফেলে পানি উন্নায়ন বোর্ড (পাউবো)। এখন সেই ব্লক উপরে ভবন নির্মাণ করেছেন কয়েক প্রভাবশালী। এতে পিছিয়ে নেই সাবেক জনপ্রতিনিধি ও সরকারে কর্মচারীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা শোলক ইউনিয়রের সাবেক ইউপি সদস্য পূর্ব ধামুড়া গ্রামের মন্নান ফকির প্রকাশ্যে দোকানের পিছনে নদীর কয়েক শতাংশ জমি দখল করে বহুতলা ভবন নির্মাণ করেছেন। এমন কি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে ভাঙ্গন রোধের নদীতে রক্ষিত ব্লক উপড়ে ফেলেও ভবন নির্মান করেছেন তিনি। স্থানীয়ভাবে তিনি বেশ প্রভাশালী হওয়ায় প্রশাসন তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

এর পাশেই ছত্তার খন্দকারের পুত্র মানিক খন্দকার একই কায়দায় নদী দখল করে বহুতলা ভবন নির্মাণ করেছেন। আগৈলঝাড়া উপজেলা এইচ এম নাসির উদ্দিন নিজের দোকানের সঙ্গে বাসভবন নির্মাণ করতে গিয়ে নদী দখল করেছেন। এছাড়াও দখলদারদের মধ্যে রয়েছেন কাংশি গ্রামের জাকির হোসেন, পৃর্ব ধামুড়া গ্রামের রহিম হাওলাদারের দোকান, জাহাঙ্গীর বেপারী, রুনু বর্নিক, বাবুল সিকদার, পলাশ কুন্ড, অশোক সাহার মিষ্টির দোকান।

স্থানীয়রা এ বিষয়ে বলেন, এভাবে ধামুড়া এলাকায় দখলের প্রতিযোগিতা চলতে থাকলে অতি অল্প সমায়ের মধ্যে দখলবাজদের কবলে পড়ে নদীটি অস্তিত হারিয়ে যাবে।

জানতে চাইলে ডিসির পিয়ন থেকে শুরু করে সার্বেয়ারসহ সবাইকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে বিডিং করেছেন বলে দাবি করেন অভিযুক্ত মন্নান ফকির। তিনি বলেন, ‘অন্যসবার ভবন উচ্ছেদ করে যেন আমার কাছে আসে।’

উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুমা আক্তার বলেছেন, নদী দখল রোধে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন। উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু বলেছেন, সরকার নদী দখল রোধে জিরো ট্রলারেন্সে, তাই দখলকারীদের কাছ থেকে নদী বাঁচাতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close