চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

  ২৭ এপ্রিল, ২০১৯

চুয়াডাঙ্গায় দাম্পত্য কলহে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ

এক বছরে বিচ্ছেদ ৩১১৭

চুয়াডাঙ্গায় আশঙ্কাজনকহারে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়ছে। গত এক বছরে চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের সংখ্যা যেখানে ৪ হাজার ৭৮৩টি, সেখানে বিচ্ছেদের সংখ্যা ৩ হাজার ১১৭টি। দাম্পত্য বিচ্ছেদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ কি? সুস্পষ্ট জবাব না মিললেও অনেকের অভিমত সেলফোন ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করা অধিকাংশেরই দাম্পত্য শেষ পর্যন্ত টিকছে না। চুয়াডাঙ্গায় বেশ ক’জন ঘটকের দাবি, পারিবারিকভাবে বিয়ে না হওয়ার কারণেই বাড়ছে বিচ্ছেদের ঘটনা। অনেক ক্ষেত্রে পুরুষের বেকারত্বও বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ।

চুয়াডাঙ্গার বেশ ক’জন কাজীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা বলছেন, বাল্যবিয়ের কারণে এক সময় তালাকের সংখ্যা বেশি দেখা যেত। আমরা এখন বাল্যবিয়ে পড়াই না। এখন কেন বিচ্ছেদ তা খতিয়ে দেখা দরকার।

চুয়াডাঙ্গা জেলা রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২০১৮ সালে বিয়ে হয়েছে মোট ৪ হাজার ৭৮৩টি। তালাক তথা বিচ্ছেদ হয়েছে ৩ হাজার ১১৭টি। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় বিয়ে ১ হাজার ৭৭০টি। বিচ্ছেদ ১ হাজার ৭১৬টি। স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক ৬০৭টি, স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক দেওয়া হয়েছে ৮৯২টি। উভয়পক্ষের সম্মতিতে দাম্পত্য বিচ্ছেদ হয়েছে ৭১৭টি।

জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলায় বিয়ে হয়েছে ১ হাজার ৭৬৬টি। বিচ্ছেদ হয়েছে ৩০৪টি। স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাকের সংখ্যা ৪২টি হলেও স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাকের সংখ্যা ৩৮২টি। উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিচ্ছেদ হয়েছে ৩০৪ দম্পতির।

দামুড়হুদা উপজেলায় মোট বিয়ে ৯৪৯টি। স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক হয়েছে ৩০টি, ১৭৯ জন স্বামীকে তালাক দিয়েছেন স্ত্রী। উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিচ্ছেদ হয়েছে ১৫০টি।

জীবননগর উপজেলায় এক বছরে মোট বিয়ে ৫৯৮টি। স্বামী কর্তৃক তালাক ৪৭টি, স্ত্রী তালাক দিয়েছে ১২৬টি। উভয়পক্ষের সম্মতিতে দাম্পত্য বিচ্ছেদ হয়েছে ১৪৭টি।

দামুড়হুদা উপজেলা সদরের ঘটক মান্নান মেম্বার জানান, এ পর্যন্ত শতাধিক বিয়ে দিয়েছি। দিন দিন ঘটকালীর মাধ্যমে বিয়ের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে। এখন মাসে দু-একটি বিয়েও আমাদের মাধ্যমে হয় না। অথচ কাজী বসে নেই। বিয়ে আর তালাকে কাজীর বাণিজ্য জমজমাট। প্রতি হাজার দেনমোহরে সাড়ে ১২ টাকা করে পান কাজী। তবে দেনমোহর ৪ লাখ টাকা হলে কাজী পান ৫ হাজার। ৪ লাখের উপরে দেনমোহর হলে তখন লাখে ১০০ টাকা করে বাড়তে থাকে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close