সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১০ এপ্রিল, ২০১৯

সিংগাইর উপজেলা হাসপাতাল

দালালের দৌরাত্ম্যে সেবাবঞ্চিত রোগীরা

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে দালালের উৎপাতে অতিষ্ঠ সেবা নিতে আসা রোগীরা। যত্রতত্র দালাল ও ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের উৎপাতে সেবা বঞ্চিত হচ্ছে রোগীসহ সাধারন মানুষ। অভিযোগ, ঘোনাপাড়া সরকারি হাসপাতালের আশপাশে গড়ে উঠা নাম সর্বস্ব বেসরকারি ক্লিনিকের পোষা দালালদের কারনে সরকারি এ হাসপাতালে সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। এসব ক্লিনিকের দালালদের প্ররোচনায় নিঃস্ব হচ্ছে রোগী ও স্বজনরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের সেবার জন্য ঘোনাপাড়া এলাকায় ১৯৮২ সালে ৩ একর জমির ওপর এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্নে ৩০ শয্যা হলেও পরবর্তীতে বর্তমান সরকার ৫০ শয্যায় উন্নতি করেন। বর্তমানে জরুরি বিভাগ ছাড়াও অর্থোপেড্রিক্সস, গাইনী ও প্রসূতি, শিশু মেডিসিন, সার্জারী, ডায়রিয়া ও পেরিংওয়ার্ড, কার্ডিলজি, চক্ষু বিভাগ, রেডিওলজি, প্যাথলজি বিভাগসহ অস্ত্রপচার কক্ষ রয়েছে। এত কিছু থাকা পরও দালাল, ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের উৎপাতে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না রোগীরা। হাসপাতালকে ঘিরে এক ডজনেরও বেশি দালাল সক্রিয়। দালাল চক্রের পাশাপাশি ফার্মেসীর মালিকরা ও একাজে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কমিশন ভিত্তিক কাজ করা এ সব দালাল চক্রের হোতারা উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে অশিক্ষিত নিরিহ রোগীদের বাগিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তি ফি হতে শুরু করে রোগ নির্নয়ের জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা ফি থেকে কমিশন পান দালালরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোগীরা বলেন, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রয়োজন হলে ডাক্তাররাই রহস্যজনক কারনে প্রাইভেট ক্লিনিকে যাওয়ার জন্য ইঙ্গিত করেন। এছাড়া সরকারি হাসপাতালে বেশির ভাগ চিকিৎসক ঠিকমত না বসে প্রাইভেট ক্লিনিকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ভিজিট নিয়ে আন্তরিকতার সহিত রোগী দেখছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স¦াস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার আলী মোল্লাহ্ বলেন, নানা কারনে দালালদের বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close