ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

  ২৩ মার্চ, ২০১৯

ক্ষেতলালে বোরো সেচে অতিরিক্ত ও অগ্রিম টাকা আদায়ের অভিযোগ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকরা সেচযন্ত্র মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। অতিরিক্ত ও অগ্রীম সেচের টাকা পরিশোধ করতে সেচযন্ত্র মালিকরা কৃষকের ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা কৃষি ও বিএমডিএ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলায় ১১ হাজার ৮১০ হেক্টর আবাদি জমি রয়েছে। এসব জমিতে বোরো মৌসুমে ফসল উৎপাদনের জন্য সেচের মাধ্যমে পানির চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত মোট ১ হাজার ৯৭টি গভীর ও অগভীর নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে সরকার নিয়ন্ত্রিত বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) ৫৯টি এবং বিএডিসির পাঁচটি গভীর নলকূপ রয়েছে। এছাড়া ব্যক্তি মালিকানাধীন ৩০৭টি গভীর এবং ৭২৬টি অগভীর নলকূপ দিয়ে বোরো ধান চাষের জন্য পানি সেচ দেওয়া হয়। উপজেলা সেচ কমিটি বোরো মৌসুমে প্রতি বিঘায় ১ হাজার ২০০ টাকা সেচ খরচ বাবদ মূল্য নির্ধারণ করলেও কিছু অসাধু নলকূপ মালিক ও বিএমডিএর অপারেটাররা তাদের ইচ্ছামত কৃষকের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছেন। অতিরিক্ত ও অগ্রীম সেচের টাকা আদায় ও পরিশোধ করতে বাধ্য করছে বলে ভুক্তভোগী কৃষকের অভিযোগ।

উপজেলার তেলাল মুরারীপুর গ্রামের কৃষক ছানাউল ইসলাম বলেন, তেলাল মুরারীপুর মাঠে তিন বিঘা জমিতে আলু ও বোরো ধান সেচের জন্য প্রতি শতকে ৫০ টাকা হারে অগ্রিম সেচের মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছে। মৌসুম শেষে সেচযন্ত্র মালিক ইচ্ছামত সেচ মূল্য নির্ধারণ করে বাকি টাকা আনুষ্ঠানিক হালখাতার মাধ্যমে পরিশোধ করতে বাধ্য করে।

একই গ্রামের বর্গাচাষি নূর মোহাম্মদ বলেন, অগ্রীম ও অতিরিক্ত সেচের টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় নলকূপের মালিকের ছেলে তাকে বেদম মারধর করে।

উপজেলার হোপ গ্রামের নলকূপ মালিক বাবলু মন্ডল বলেন, কিছু কৃষক প্রতি বছর সেচের টাকা বাকি রাখেন। সে কারণে তাদের কাছ থেকে চলতি মৌসুমে প্রতি বিঘায় ২ হাজার ৩০০ টাকা হারে অগ্রীম আদায় করেছি।

উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও আরাফাত রহমান বলেন, সেচ কমিটি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত এবং অগ্রীম সেচের মূল্য আদায় করার অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট নলকূপ মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close