গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

  ২৩ মার্চ, ২০১৯

গোয়ালন্দের কুশাহাট

শিক্ষাবঞ্চিত নদী এলাকার শিশুরা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বৃহত্তর একটি অংশের নাম কুশাহাট। দুর্গম এই কুশাহাট এর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম একমাত্র নৌকা। দুর্গম এ এলাকায় যেতে উপজেলা শহর থেকে প্রায় ২ঘণ্টা ইঞ্জিন চালিত নৌকার সময় লাগে। নৌকা ছাড়া যাওয়া-আসার কোন বিকল্প পথ নেই। সরকারি কোন সুযোগ-সুবিধা দুরে কথা প্রাথমিক চিকিৎসা ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। শতশত শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে কৃষি কাজ করছে। অনেকে অপরাধমুলক কাজে জড়িয়ে যাচ্ছে।

দুর্গম এ এলাকাবাসীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি কাজ ও মৎস শিকার। তবে ২০১৮ সালে পায়াক্ট বাংলাদেশ নামে একটি সংস্থা ব্র্যাকের অর্থে একটি প্রি-প্রাইমারি স্কুল শুরু করে। সেই স্কুলে ৯০জন শিশু ভর্তি হয়েছে। কিন্ত প্রথম বছর শেষ হওয়ায় আবারও অনিশ্চিয়তায় পড়েছে শিক্ষা জীবন। সরকারি সাহায্যে সহযোগিতা এসে পৌছায় না কখনও এই এলাকায়। মাঝে-মধ্যে কোন ব্যক্তি বা সামাজিক সংগঠন এসে কিছু সাহায্যে-সহযোতি করে। কুশাহাট এলাকার বাসিন্দা মাইউদ্দিন বলেন, আমাদের এলাকায় কোন স্কুল নেই। একটি এনজিও গত বছর প্রি-প্রাইমারি স্কুল শুরু করেছে। সেই স্কুল শুধু প্রি-প্রাইমারি পর্যন্ত। মাত্র এক বছরের প্রজেক্ট। প্রি-প্রাইমারি শিক্ষা শেষ করে অন্য কোন জায়গায় ভর্তি হওয়ার সুযোগ নেই। এখানে কোন চিকিৎসার ব্যবস্থাও নেই। সরকারের কাছে আমাদের দাবি এই এলাকায় একটি প্রাইমারি স্কুল ও ক্লিনিক দেওয়ার।

দৌলতদিয়া মডেল হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, দুর্গম এ এলাকায় সরকারি কোন সাহায্যে সহযোগিতা পৌছায় না। এই এলাকায় শিক্ষা, চিকিৎসাসহ কোন কিছু পৌছায়নি। যে কারণে সাধারণ চিকিৎসা ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই এলাকার মানুষ। শিক্ষা অফিসার আ. মালেক বলেন, গোয়ালন্দ উপজেলার কুশাহাট এলাকায় কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। যে কারনে যেখানে ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে খুব তাড়াতাড়ি সেখানে একটি স্কুলের ব্যবস্থা করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close