সাহারুল হক সাচ্চু, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)

  ১৬ মার্চ, ২০১৯

উল্লাপাড়ায় দুই নদীর চার ঘাটে পারাপার হতে হয় বাঁশের সাঁকোয়

বর্ষাকালে চলাচল নৌকায়। বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে আর বাড়ি ফিরতে বর্ষায় মাস চারেক নৌকাই একমাত্র ভরসা। আর বর্ষার পানি কমলে প্রায় ছয় মাস নদী পারাপারে বাঁশের সাকোই একমাত্র ভরসা। দুটি নদীর চারটি ঘাটে বাঁশের সাকো বেয়ে ২০টি গ্রামের শত শত জনকে এভাবেই চলতে হয়। এমন চিত্র সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের।

উপজেলা সদরের পশ্চিম এলাকা বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়ন এলাকাসহ আরো তিনটি ইউনিয়ন মোহনপুর, উধুনিয়া, বাঙ্গালা এলাকা জুড়ে বর্ষাকালে সাড়ে তিন থেকে চার মাস প্লাবিত হয়ে থাকে। সে সময় বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের বাসিন্দাদের ভাড়াটিয়া নৌকায় চলাচল করতে হয়। এ ইউনিয়ন এলাকায় বন্যার পানি কমলে চলাচলে বেশ দুর্ভোগ দেখা দেয়। বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়ন এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া দূর্গাদহ ও বিলসূর্য নদী দুটির চারটি ঘাটে কমপক্ষে ২০টি গ্রামের বাসিন্দাদের বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে চলাচল করতে হয়। বিলসুর্য নদীতে করমের আমতলা ঘাটে পারাপারে রয়েছে একটি বাঁশের সাঁকো। এছাড়া দূর্গাদহ নদীর শুকলাই, ত্রিমোহনী ও দূর্গাদহ শ্মশান ঘাটে বাঁশের সাঁকোয় হতে হয় পারাপার। গ্রাম গুলোর ক’টি হলো-বাবুলীদহ, হাট উধুনিয়া, বামনগ্রাম, বলাইগাঁতী, বংকিরাট, আচলগাঁতী, নরসিংহপাড়া, শুকলাই ও শুকলহাট। এসব গ্রামের সড়ক পথগুলো তেমন উন্নত নয়। এ চারটি ঘাট হয়ে প্রতিদিন ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার শতশত লোকজন চলাচল করে থাকে। একাধিক ব্যবসায়ী জানান, শুকনো মৌসুমে বিভিন্ন মালামাল কাঁচা সড়কে বিভিন্ন বাহনে ঠেলে নেওয়া গেলেও নদী ঘাটে বেশ দুর্ভোগ আর ভোগান্তি পোহাতে হয়।

বড়পাঙ্গাসী ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ন কবীর লিটন বলেন, নদী দুটির ঘাট চারটিতে ব্রিজ নির্মাণ হলে জনগনের পারাপারে দুর্ভোগের অবসান হবে। এলাকার মধ্যে সহজ ও দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close