মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি

  ১৫ মার্চ, ২০১৯

মনোহরদীর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র

উপসহকারী চিকিৎসকরাই যেখানে একমাত্র ভরসা

১২ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় প্রায় ৫ লাখ লোকের বসবাস। ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে পাঁচ ইউনিয়নে। এসব কেন্দ্রে মেডিকেল কর্মকর্তা (এমও) না যাওয়ায় রোগীর একমাত্র ভরসা উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা অর্থাৎ ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা।

ইউনিয়ন পর্যায় স্থাপিত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো হলো গোতাশিয়া, কাচিকাটা, বড়চাপা, লেবুতলা ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও মনোহরদী সদরের চ্যারিটেবল ডিসপেন্সারি। এই পাঁচটি কেন্দ্রে দৈনিক প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। এদের মধ্যে চ্যারিটেবল ডিসপেন্সারি, গোতাশিয়া ও লেবুতলা ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিজস্ব ভবন থাকলেও বাকি দুটির কেন্দ্রের কার্যক্রম চলে ইউপি ভবনের কক্ষে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন মেডিকেল কর্মকর্তা, একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা (এমও), একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন এমএলএসএস পদ রয়েছে। কিন্তু মেডিকেল কর্মকর্তার অনুপস্থিতি ও বাকি পদগুলো খালি থাকায় ডিপ্লোমা চিকিৎসকেরই সবার কাজ করতে হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গোতাশিয়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডা. ফাইকা রহমানের পদায়ন থাকলেও প্রায় চার বছর আগে তিনি প্রেষণে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে চলে যান। কাচিকাটা ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডা. তন্ময় করের দায়িত্ব থাকলেও তিনি একদিন কর্মস্থলে গিয়ে বাকি সময় থাকেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। একই অবস্থা লেবুতলা ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. ফরহানুন জান্নাতের ক্ষেত্র। তিন মাস আগে বদলি অন্যত্র চলে যান তিনি। একই অবস্থা বড়চাপা ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও চ্যারিটেবল ডিসপেন্সারির। গোতাশিয়া ইউনিয়নের ঠেকেরকান্দা গ্রামের জিয়াউদ্দিন জানান, ‘আমাদের উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রায় চার বছর ধরে মেডিকেল কর্মকর্তা না থাকায় আমরা সহজ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’

মনোহরদী চ্যারিটেবল ডিসপেন্সারিতে কর্মরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা মো. সোহাগ মিয়া বলেন, ‘উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত চিকিৎসা সেবায় উপসহকারী মেডিকেল কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। সরকার তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা এবং উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করলে চিকিৎসা খাতে তারা আরো বেশি ভূমিকার রাখতে পারবেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা এ দাবি জানিয়ে আসছেন।’

মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রশাসক ডা. মো. রাশেদুল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে পদায়নকৃত চিকিৎসকরা প্রেষইে অন্যত্র চলে যাওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ উন্নত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হন। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close