জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, লালমনিরহাট

  ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

হাতীবান্ধা

বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন

হুমকির মুখে শহীদ মিনার মহাসড়ক ও ডাকবাংলো

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে বোমা মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ওই এলাকার বুড়িমারী-ঢাকা মহাসড়ক, ডাক বাংলো, জামে মসজিদ ও শহীদ মিনারসহ অনেক প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়েছে।

জানা গেছে, হাতীবান্ধা মূল শহর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে জেলা পরিষদের একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরটির কারণে পশ্চিম পাশের বুড়িমারী স্থল বন্দর মহাসড়কটি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এ অবস্থায় পুকরের চারপাশে পাইলিং নিমার্ণ ও পুকুর খননের কাজ করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। পুকুর খনন ও মাটি ভরাটের জন্য ভেকু মেশিন দিয়ে খননের নিয়ম থাকলেও তা না করে অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বালু ব্যবসা করছে একটি সিন্ডিকেট মহল। বোমা মেশিন দিয়ে মাটির ৭০ থেকে ১০০ ফিট নিচে থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে পুকুরের ৫০-১০০ গজের মধ্যে অবস্থিত বুড়িমারী স্থল বন্দর মহাসড়ক, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, নির্মাণাধীন ডাকবাংলো, জামে মসজিদসহ অসংখ্যা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে চলছে। ফলে যেকোনো মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বুড়িমারী স্থল বন্দর মহাসড়কটিতে।

ওই বোমা মেশিনের মালিক আমিনুর রহমান জানান, বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনে জেলা প্রশাসকের অনুমতি রয়েছে। তাই তিনি বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। তবে বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কোনো অনুমতিপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।

হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন জানান, ওই বোমা মেশিন বন্ধের জন্য উক্ত কাজের বাস্তবায়নকারী সংস্থা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে ইতোমধ্যে নিদের্শ প্রদান করা হয়েছে। সেই নিদের্শনা অমান্য করে বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ম. শফিউল আরিফ জানান, বোমা মেশিন দিয়ে বালু বা পাথর উত্তোলন সমপূর্ণভাবে অবৈধ। প্রশাসন থেকে বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কোনো অনুমতি দেওয়া হয় না। এর পরেও কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বোমা মেশিন দিয়ে বালু বা পাথর উত্তোলন করলে তদন্ত করে প্রমান পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close