বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ২০১৯ সালের শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ঘোষণা করা হয়েছে। গত বুধবার নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসার অধ্যাপক ড. এ এস মাহফুজুল বারির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘সোনালী দল’ তাদের প্যানেল ঘোষণা করেনি।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি বাকৃবি শিক্ষক সমিতির ২০১৯ সালের নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষক সমিতি। কিন্তু গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভোট কেন্দ্রে সোনালি দলের শিক্ষকদের হেনস্তা করায় এবং এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতি কোন লিখিত বিবৃতি প্রকাশ না করায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘সোনালী দল’। পরে সমিতির নির্বাচন স্থগিত করে শিক্ষক সমিতি।

এদিকে নতুন করে শিক্ষক সমিতির তারিখ ঘোষণা করা হলেও সোনালী দল কোন প্যানেল ঘোষণা করেনি। অপরদিকে নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের মধ্যে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম এবং নীল দল নামে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে তাদের প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। তাদের মধ্যে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম ১৫ সদস্য এবং নীল দল ৩ সদস্যের আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেছে। এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হচ্ছেন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের মনোনীত ৭ জন সদস্য।

নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসার এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস মাহফুজুল বারি বলেন, সোনালী দল নির্বাচনে আসার কোন আগ্রহ দেখায়নি। টেলিফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা নির্বাচনে আসবে না বলে জানিয়ে দেয়।

সোনালী দলের সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবদুল কাদের বলেন, আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম মনোনীত প্যানেল বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হওয়ার পায়তারা করছিল। পরবর্তীতে নিজেদের মধ্যে গ্রুপিংয়ের কারণে প্যানেল ঘোষণা করতে না পেরে নির্বাচন স্থগিত করে। পরবর্তীতে কোন ধরনের আলোচনা ছাড়াই দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করার পর ফোন করে আমাদের জানায়। নীল দলের সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাকৃবিতে নীল দলই আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সত্যিকারের সংগঠন। এবার শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আমরা নিজেদের প্রকাশ করতেই এই আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেছি।

"