ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

  ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন ঝিনাইদহের ২ বীরাঙ্গনা

মুক্তিযুদ্ধে সবকিছু হারিয়ে দীর্ঘদিন পর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন ঝিনাইদহের দুই বীরাঙ্গনা। এরা হলে হলেন, ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধা জয়গুন নেছা ও কালিগঞ্জ উপজেলার মোল্লাকোয়া গ্রামের ফাতেমা বেগম। মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে নির্যাতিত হওয়ায় জয়গুন নেছা ও ফাতেমা বেগমসহ ১০ জন বীরাঙ্গণার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে সম্প্রতি গেজেট জারি করেছে সরকার। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৬০তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বীরাঙ্গণারা এ স্বীকৃতি পেলেন। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গণার সংখ্যা হল ২৭১ জন। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়ার পর জয়গুন নেছা জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বামী হাবিবুর রহমান ও সতিনের মেয়ে হাসিনা খাতুনকে হারিয়েছেন তিনি। পাক সামরিক দস্যুদের পাশবিক নির্যাতন ও বর্বরতার সেই দগদগে ভয়াল স্মৃতি চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। এই বৃদ্ধ বয়সে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটের জন্য বিভিন্ন দফতরে ছুটেছেন। অবশেষে এ বছর সরকার তার স্বীকৃতি দিলেন। তিনি বলেন, ‘এতদিন পর হলেও আমি সম্মান পেয়েছি। এখন মারা গেলেও আমি শান্তি পাব।’ আরেক বীরাঙ্গনা ফাতেমা বেগম জানান, ৭১ সালে যুদ্ধের সময় কালীগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর এলাকা থেকে পাক-হানাদাররা তাকে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে কয়েকদিন আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন চালায়। সেখান থেকে ফিরে আসলেও স্বামী সিরাজুল তাকে গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে কালীগঞ্জ উপজেলার মোল্লাকোয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শুকুর আলী তাকে বিয়ে করেন। দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দাবি করে বিভিন্ন মহলের ঘুরেছেন। সমাজের কর্তাদের কাছে গেলে তারা অবহেলা করেছেন। অবশেষে স্বীকৃতি পাওয়া গেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close