নারায়ণঞ্জের রূপগঞ্জে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের কিশোর আসলাম হত্যার আসামিরা এখনো অধরা। হত্যার পর থেকে আসামিরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে তাদেরকে গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। এদিকে আসামীদের হুমিক মুখে নিরপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবারটি। ঘটনার পর ১৩ জানুয়ারি নিহতের বোন বাদি হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহতের পরিবারের দাবি, হত্যাকান্ডে ৫ জন জড়িত থাকলেও পুলিশ এজাহারে দুজনকে আসামি করেছেন। মামলা তুলে না নিহতের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে মামলার অসামিরা। নিহতের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, ৪ মাস আগে নবকিশলয় উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়–য়া এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্রের মেহেদী হাসান, সহযোগী লিমন মিয়া, হেলাল মিয়া, সুমন মিয়া ও মনির হোসেন আসলাম মিয়াকে বেধড়ক পেটায়। এর জেরেই ঐদিন সন্ধ্যায় আসলাম ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে মেহেদী হাসানকে মারধর করে। পরে ভয়ে আসলাম এলাকা ছেড়ে চলে যায়। বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হলে মেহেদী ও তার লোকজন রাজি না হয়ে উল্টো আসলামকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। নিহতের বোন আসমা আক্তার বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে গত ১১ জানুয়ারি আসলামকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। ফিরে আসার একদিন পর গত ১২ জানুয়ারি ৮ নং ওয়ার্ডের বোরহান মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে মেহেদী হাসান ও তার সহযোগীরা আসলামের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাত করে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরো জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনায় তিনি রূপগঞ্জ থানায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা করতে গেলে তদন্তকারী কর্মকর্তা দুই জনকে আসামি করে মামলা নেন।

রূপগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হক বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্ত তিনজনের নাম এজাহারে অন্তভূক্ত করতে তদন্তকারী কর্মকর্তার অনীহা প্রকাশের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জানা নেই। এমনটি হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"