নোয়াখালী-কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি

  ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

নোয়াখালী সদর হাসপাতাল

১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত মর্গ ময়নাতদন্ত নিয়ে বিড়ম্বনা

নোয়াখালী জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেই কোন মর্গ। পুরো জেলার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতোলে নেই কোন লাশ কাটার ঘর ও লাশ রাখার পূর্ণ ব্যবস্থা। ময়নাতদন্তের জন্য আনা লাশ ময়লা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে হাসপাতালের রুগীদের ওয়ার্ডের পাশে সিঁড়ি ঘরে রাখা হয়। এই লাশ দেখে হাসপাতালে চিকিৎসারত রুগীদের মাঝে এবং আগত স্বজনদের মাঝে একধরণের ভীতির সৃষ্টি হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলখানা রোডে অবস্থিত পুরাতন মর্গ দীর্ঘ ১০ বছর যাবত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। হাসপাতালের ছাদের উপরে তেরপাল ঘেরা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে চলে লাশের ময়নাতদন্ত। এতে শুধু যে লাশের সংরক্ষনের কাজ ব্যহত হচ্ছে তা নয়, নষ্ট হচ্ছে অনেক আলামতও। হাসপাতালে লাশ সংরক্ষনের কোন ব্যবস্থা না থাকার কারনে অনেক সময় লাশের পঁচন দেখা যায়। পঁচনের ফলে দুর্গন্ধে একদিকে যেমন পরিবেশ দূর্বিষহ হয়ে উঠছে অন্যদিকে তেমনি গুরুতর উদ্বেগের কারণ। লাশের ময়না তদন্তের সময় এইসব অব্যবস্থানায় লাশের অভিভাকরা মনে করেন, লাশের উপর ময়না তদন্তের নামে চলে এক ধরনের নির্যাতন যা অমানবিক। এ কারণে অনেক সময় লাশের ময়নতদন্ত করার জন্য রাজি হননা অভিভাবকরা।

হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে এখানে ২১৭ টি লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। গড়ে প্রতিমাসে ২০-২৫ টি লাশের ময়না তদন্ত করা হয়।

হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, আপাতত অস্থায়ী ভাবে ছাদের উপরে লাশের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। আমরা গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে আবেদন করেছি যা প্রক্রিয়াধীন আছে। হাসপাতালের নিজস্ব কোন ডোম না থাকায় মেডিকেল কলেজের দুইজন ডোম ময়নাতদন্ত করেন।

নোয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান জানান, জেনারেল হাসপাতালের মর্গের জন্য ৫০ লাখ টাকার টেন্ডার হয়েছে, শীঘ্রই ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close