বরগুনা প্রতিনিধি
গাইড বইয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে যান শিক্ষক
ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে মুমূর্ষু অবস্থায় বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ
বরগুনায় মাদরাসার শিক্ষক কর্তৃক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মুমূর্ষু ছাত্রীকে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বরিশালের শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় বরগুনা সদর উপজেলার সাহেবের হাওলা এলাকায় শিক্ষকের বাসায় এই ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ছাত্রী ও তার বড় বোন ওই মাদরাসায় পড়ে। অভিযুক্ত শরীরচর্চার শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ওই মাদরাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মো. ইব্রাহীম খলিলের ছেলে। এক সন্তানের জনক এই শিক্ষক মাদরাসাসংলগ্ন নিজ বাড়ি বাস করেন।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন নিগৃত ছাত্রী ক্লাসে আসলে শরীরচর্চা শিক্ষক সাইফুল ইসলাম তাকে গাইট বই দেওয়ার কথা বলে মাদরাসাসংলগ্ন নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে বাড়িতে কেউ না থাকায় খালি ঘরের দরজা বন্ধ করে ছাত্রীর মুখ চেপে ধর্ষণ করে। পরে ছাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়।
এদিকে ক্লাসে ফিরতে বিলম্ব হওয়ায় ওই ছাত্রীর বড়বোন শিক্ষকের ঘরে গিয়ে অচেতন অবস্থায় ছোট বোনকে দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দেয়। এসময় স্থানীয়রা এসে নির্যাতনের ছাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জানতে চাইলে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাকিল তানভীর জানান, স্কুল ছাত্রীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে, এজন্য প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতারে জরুরি ভিত্তিতে পাঠানো হচ্ছে।
বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ আবির মোহাম্মদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্ততি চলছে এবং আসামিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান।
"