জয়পুরহাট প্রতিনিধি

  ২০ জানুয়ারি, ২০১৯

জয়পুরহাটে বাড়ছে মৌচাষ

ন্যায্যমূল্য চান মৌচাষিরা

জয়পুরহাটে বাণিজ্যিকভাবে মৌচাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন বেকার যুবক ও নিম্নআয়ের মানুষ। জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাড়িতে, পাশের জমিতে ও সরিষা খেতের পাশে প্রায় ৮০০টি বাক্সে মৌমাছির চাষ হচ্ছে। এখানকার উৎপাদিত মধুর গুণগত মান ভালো হওয়ায় জেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ দেশ-বিদেশের ছোট বড় কোম্পানিগুলোতে।

জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা জলিলপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলী ও তার স্ত্রী নিজের চেষ্টায় ১৯৯৯ সালে বিসিক থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ বাড়িতে চারটি বক্সে প্রথম শুরু করেন মৌচাষ। তার দেখাদেখি জেলার বিভিন্ন এলাকায় বেড়েই চলেছে মৌচাষ। সদর উপজেলার পুরানাপৈল দস্তপুর, শালগ্রাম জামালপুর, ভাদসা ও মোহাম্মদাবাদসহ জেলার ৫০ থেকে ৬০টি গ্রামে প্রায় ২৫০ জন মৌয়াল মৌচাষে যুক্ত আছেন। এ মৌসুমে প্রতি বাক্সে মধু উৎপাদন হয় ৪০ থেকে ৫০ কেজি। আর এতে খরচ হয় এক থেকে দেড় হাজার টাকা। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে মধু উৎপাদন হবে প্রায় ৮০০ থেকে ১ হাজার মণ। চাষিদের কাছ থেকে খুচরা প্রতি কেজি মধু বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। সদর উপজেলার পুরানাপৈল ইউনিয়নের দস্তপুর গ্রামের মৌ চাষি আপেল মাহমুদ, জালাল উদ্দীন, হাফিজুর রহমান ও ভাদসা জলিলপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলী জানান, এখানকার উৎপাদিত মধু জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট-বড় কোম্পানিতে সরবরাহ হচ্ছে। দেশের বাহিরেও চলে যাচ্ছে। তবে মধুর নির্ধারিত বাজার মূল্য না থাকায় ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। তাই সরকারিভাবে অথবা কোম্পানির মাধ্যমে নির্ধারিত দামে মধু কিনলে আরও লাভবান ও আগ্রহী হবেন এখানকার মৌ চাষিরা। মধু কিনতে আসা ক্রেতা রানা হোসেন, মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকেই বলেন, এখানে প্রাকৃতিকভাবে ভেজালমুক্ত মধু স্বল্প দামে কিনতে পেরে আমরা বেশ খুশি।

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায় বলেন, জেলার অনেক জায়গায় সরিষার খেতের পাশে মৌচাষ হচ্ছে। ফলে সরিষা খেতে মৌমাছি পরাগায়নের কারণে সরিষার ফলন ভালো হয়।

এদিকে জয়পুরহাট বিসিকের উপব্যবস্থাপক আকতারুল আলম চৌধুরী বলেন, মৌ চাষিদের ঋণ সহায়তা, নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও প্রায় ৮০০ বক্স সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও সরকারের অন্যান্য সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close