কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

  ১৯ জানুয়ারি, ২০১৯

কলারোয়ায় এ বছর ফসলের বিকল্প হিসেবে কুল চাষ

উপজেলার ১৮০ হেক্টর জমিতে কুল চাষ। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী জমি প্রায় ১৩০ হেক্টর

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উন্নত জাতের কুল চাষ করেছেন কৃষকরা। এ বছর উপজেলায় প্রায় ১৮০ হেক্টর জমিতে কুলের চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার ১৮০ হেক্টর মধ্যে সীমান্তবর্তী প্রায় ১৩০ হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে বলে জানিয়ে উপজেলা কৃষি অফিস। উপজেলার সীমান্তবর্তী ৬টি ইউনিয়নসহ উপজেলার ৮নং কেরালকাতা ও ১টি পৌরসভা সহ বিভিন্ন এলাকায় এই কুল চাষ হয়েছে।

কুল চাষ এ অঞ্চলে নিয়মিত অন্যান্য ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি এটি একটি উল্লেখযোগ্য অর্থকারী ফসল। যা কৃষি ক্ষেত্রে এনে দিয়েছে নতুন বিপ্লব। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এখানকার মাটি দো-আঁশ। যা কুল চাষের জন্য বিশেষ ভাবে উপযোগী। এ বছর কুলে ছেয়ে গেছে সমস্ত বাগান। যদি ঘন-কুয়াশা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ্য না হয় তাহলে কুলচাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জন হবে। অপরদিকে বর্তমানে প্রচলিত বিভিন্ন ফসল চাষে আর্থিকভাবে কৃষকরা বেশি লাভবান না হওয়ায় এ বছর কুল চাষকে বিকল্প হিসাবে বেছে নিয়েছেন ।

কুল চাষে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখানকার মাটি ও আবহাওয়া কুল চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় বিঘা প্রতি ১৫০ থেকে ১৭০ মণ কুল উৎপাদন হবে। এ অঞ্চলের কৃষকরা বলেন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এখানকার কুল বিদেশে রফতানি করা সম্ভব।

সরেজমিনে উপজেলার পৌর সদরের শেখ আমানুল্লাহ কলেজের পিছনে কুল ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন জাতের কুল গাছে কাঁচা-পাকা কুল ছেয়ে গেছে মাঠের বাগান। বর্তমানে স্থানীয় বিভিন্ন জাতের কুল ছাড়াও উন্নত জাতের আপেল কুল, নাইনটি কুল, বি-নাইনটি নারিকেল, বাউকুল, তাইওয়ান ও থাইকুলের চাষ হয়েছে ব্যাপকভাবে। এর মধ্যে আপেল কুল বেশি চাষ হয়েছে বলে জানান কুলচাষী কবিরুল ইসলাম।

এদিকে এলাকার কৃষক ডাক্তার কবিরুল জানান, তিনি গত বছর কুয়াশাজনিত কারণে কুল চাষে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তিনি এ বছর মাত্র ২৫ বিঘা জমিতে কুল চাষ করেছেন। তিনি বলেন, এ বছর কুলের ভাল ফলন হলে এলাকার চাহিদা পূরণে করেও অন্য জাযগায় কুল বিক্রয় করতে পারব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহসিন আলী বলেন, এ অঞ্চলের মাটি কুল চাষের জন্য বিশেষ ভাবে উপযোগী হওয়ায় বর্তমানে এখানকার কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। তার মতে, ক্যালরি সম্পন্ন কুলের গবেষণা চালিয়ে উন্নত জাত তৈরি করে ব্যাপক আবাদের ব্যবস্থা করলে এ অঞ্চলের প্রধান অর্থকরী ফসল আমের পরেই হবে কুলের স্থান। যা বিদেশে রফতানি করে অর্থনৈতিকভাবে কৃষকদের স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close